পাতা:শিশু-ভারতী - চতুর্থ খণ্ড.djvu/৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বাস, তাল, নারিকেল ইতাদি । দ্বিবীজপত্রী গুড়ির নালিকাগুচ্ছ জল এবং থামুনালিকার মধ্যে উৎপাদক কোষের একটি স্তর থাকে : একবীজপত্রী গুড়ির নালিকাগুচ্ছে এরূপ কোন উৎপাদক কোষ नाहे । জলনালিকার কেীক্ষাবরণ মোট ছয় এবং উহার ভিতর জৈবপদার্গ থাকে। পাপ্তনালিকার উপর নীচের দিকের আবরণে চালনির মত বহু ছিদ্র থাকে। এই জন্ত ইংরাজীতে উচ্চার নাম চালনিযুক্ত নালি - (Soive tuho) । এহরােপ ছিদ্র কখন কথন পাশের আবরণে থাকে। থাল্পনালিকায়ু অতি সমান্ত পরিমাণে জৈবপদাগ থাকে । জলনালিকা গুড়িকে শক্ত করিবার কাজেও লাগে। গুড়িকে শক্ত করিবার জন্ত অন্য কোষও আছে। ইহাদের কোষীলরণ অত্যধিক মোন । কঁহাদের কাeাপও জৈবপদার্থ আছে, কাষ্ঠীরও পা নাই । একটি কঞ্চি অথবা নরম ডালকে লা কাইবার চেষ্টা কর । দেখিলে যে, i চিহ্ণিত স্থানে দুই পাশ চাড় পড়িতে৫ে, সব্বাপেক্ষা অধিক এবং কেন্দ্রস্থলে সৰ্ব্বাপেক্ষ। কম। সুতরাং কঠিনতাবদ্ধক কোস গুলি{- rengthening ti-eue}* ङके গুড়ির পরিধির (Peripher) কাছে থাকিবে, গুড়ি ততই মোচট্টের আঘাত (bealing trains) প্রতিবোধ করিতে পারিবে । জোর বাতাসের কিংবা ঝড়ের ঝাপটে গুড়ি যাহাঁতে সঁকিয়; না যাইতে পারে, তজ্জন্ত কঠিনতাবৰ্দ্ধক কোষসমষ্টি এইরূপ গুড়ির পবিধির কাছে ছড়ায় আছে জলজউদ্ভিদে অবশ্য এইরূপ হইতে পারে না। কারণ, জলের গাছকে এমন হইতে হইবে, যাহাতে উকা স্রোতের টানে অনায়াসে রাকিয় যাইতে পারে,—অথচ ন৷ ভাঙ্গে । সেই জন্য এই সকল গাছে কাঠিন্যবৰ্দ্ধক কোষসমষ্টি গুড়ির মধ্যস্থানে আছে। কঠিন্যবৰ্দ্ধক কোষগুলি গুড়ির এমন স্থানে থাকে যে, তাহারা আঘাত চইতে বঁাচাইবার জন্ত গাছকে যথাসাধা সাহায্য করিতে পারে । গুড়ি ছোট হইতে বড় হয়, খাটে হইতে লম্বী এবং সরু হইতে মোটা হয়। গুড়ির অগ্রভাগে খুব ছোট ছোট কচিপাতায় ঢাকা তাহার ***** (growing point) থাকে। এই বৰ্দ্ধনমুখ যেসব কোষদিয়া তৈয়ারী, তাহারা তাড়াতাড়ি বিভক্ত হইতে পারে। এইরূপে । - פ5 אל তাহারা অনবরত কোষের সংখ্যা বাড়াইতে থাকে । সেইজন্ত গুড়িটি লঙ্গায় বাড়িয়া উঠিতে পাকে । এই কোষগুলি পরিবর্তিত হইয়া গুড়ির নানা প্রকার কোষ এবং কোষসমষ্টি রচনা করে। বদ্ধনমুখ হইতে যতই নীচের স্তরের কোষ পরীক্ষিত হইবে, ততক্ট উছাদের রূপান্তর দেখা যাইবে । কেমন করিয়া গুড়ি মোটা হয়, এইবার সে কথা T গুড়ির মধ্যস্থ খাদ্যনালিকা ও কোষ বলিতেছি। গুড়ির ভিতরে নালিকা-গুচ্ছে জলের এবং খাদ্যনালিকার মধ্যে উৎপাদক কোষের একটি স্তর আছে, ইহা পূর্বেই বলিয়াছি। এই কোষগুলি পদ্ধনমুখের কোষের মত বিভক্ত হইতে পারে। এই বিভাগের দ্বারা যে কোষগুলি ভিতরের দিকে অর্থাৎ জলনালিকার দিকে উৎপন্ন হয়, তাহার ক্রমে शश्न হইয়৷ জলনালিকায় পরিবর্ধিত হয় । সেই প্রকারেই যে কোষগুলি বাহিরের অর্থাৎ খাদ্যনালিকার দিকে উৎপন্ন হয়, তাহারা রূপান্তরিত হইয়া খাদ্যনালিকায় পরিণত হয়। তোমরা সহজেই বুঝিতে পরিবে যে, --