পাতা:শিশু-ভারতী - চতুর্থ খণ্ড.djvu/৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

-هــمــمـسمــهــه 1

  • --------------

আজ একটু ছাউনি দেই, কাল একটাফাট দেয়ালের খসা ইটখানির জায়গায় অন্ত একখানি ইট বসাইয়া দেহ, চুণকাম করি ; তলে ত উহার স্থঠামটি বজায় থাকে। তেমনি আমাদের শরীর রক্ষার জন্য, শরীরের বুদ্ধির জন্ত প্রতিদিন ঐক্কপ মেরামতি কাজটা চালাইতে হয়। আমাদের শরীরের এই যে গঠন ক্রিয়া, তাহা প্রতিদিন চলিতেছে এবং আমরা যতদিন বাচিয়া থাকিল, ততদিন এই গঠন-ক্রিয়া চলিতেই থাকিবে। জীবিত মাতুষের শরীরে তাপ থাকে । শীতকালই হউক বা গ্রীষ্মকালই হউক, সাধারণতঃ মাহুষের দেহের তাপের পরিমাণ প্রায় ১০ • • ডিগ্রী পর্যান্ত থাকে। কয়লা, কাঠ বা তেলের সাহায্য বাতীত যেমন আগুন জলে না বা তাপ জন্মে না, তেমনি আমাদের দেহের ভিতরকার আগুনকে জালাইয়া ন৷ রাথিতে পারলে আমাদের শরীরই বা উত্তপ্ত থাকিবে কিরূপে ? শরীরের এই তাপ বজায় রাখিতে হইলে দেহের ভিতপকার অগুনকে প্ৰজলিত রাপিতে ইহবে । কাঠ ও কয়লার মত লেপানেও এমন কিছু জিনিষের জোগান দেওয়ার দরকার, যাহাতে দেহের আগুন প্রতিনিয়ত জলিতে পারে। আমাদের দেহের এই যে আগুন, তাঙ্গার তাপের পরিমাণ জান ? অামাদের শরীরের তাপ অনায়াসে চব্বিশ ঘণ্টায়ু সাত গ্যালন বরফ-জলকে ফুটাইতে পারে। বায়ু,স্থিত অক্সিজেনের সাহায্যে এই দহন ক্রিয়া সম্পন্ন হয় । আমাদের শরীর ক্ষয় পাইবার অন্য কারণ হইতেছে শ্রম করা। শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমেও আমাদের শরীর ক্ষয় পায় । একটা রেলগাড়ীর এঞ্জিনের সঙ্গে এ বিষয়টার তুলনা কর। যাইতে পারে। এঞ্জিনের ভিতর কয়লা জালাইয়া জল ফুটাইয়া বাষ্প তৈয়ারী করিতে হয়, অবশেষে সেই বাম্পের জোরে এঞ্জিন চলিয়া থাকে । বাষ্প হইতেছে এঞ্জিনের শক্তি। সেইরূপ আমাদের শরীরের ভিতরকার কোষগুলি (cells) খাদ্য ইহঁতে তাহাদের শক্তি পায়। আমরা এই যে চলাফের। করি, কাজ-কৰ্ম্ম করি, এছ শক্তি কোথা ইষ্টতে পাই ? পাই পুষ্টিকর খাদ্যের সাহায্যে। কাজেই, আমাদের দৈহিক শক্তির মল স্বত্র গুইতেছে, থাথ । এই জন্তহ চিকিৎসকের বলেন —The body has only one source of energy. That issoud. যে ষত শারীরিক পরিশ্রম করে, তাহার তত বেশী খাদ্যের আবশ্যক হয় । ভাবিয়া দেখ, প্রতিদিন প্রতি মুহুর্তে আমাদের দেহকোষ কত কাজ করিতেছে। .ممام مہم ises.st=gSehمfa 〉、やや আমাদের হৃদপিণ্ড (Heart) দিনরাত্রি অনবরত চাপ দিয়া শরীরের প্রত্যেক অংশে রক্ত চালনা করিতেছে। ফুসফুস (Lungs) এবং মাংসপেশীও (Muscle) তাহার কাজ করিয়া যাইতেছে । এই যে কাৰ্য্য, ইহার মূলে অর্থাৎ দেহের বিবিধ যন্ত্রকে পরিচালিত করিয়া আমাদিগকে বাচাইয়া রাখিবার মূলে একমাত্র খাদ্যই ইতেছে মূল উপাদান। এখন আমরা দেখিতে পাইলাম, থাষ্ঠের সাহায্যে আমাদের দেহের পুষ্টি হয়। খাদ্যের দ্বারাই আমাদের দেহের প্রত্যেকটি শিরা, উপশিরা, হাড়, মাংসপেশী, রক্ত, মস্তিষ্ক —এক কথায়, দেহের প্রত্যেকটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গ পুষ্টি লাভ করিয়া থাকে । আমাদের শরীর কি কি উপাদানে গঠিত, নিম্নে তাহার তালিকা দিলাম। একজন মাতুসের দৈহিক ওজন ১৫০ পাউণ্ড কইলে তাহার শরীরে কোন কোন উপাদান কি কি পরিমাণে থাকে, তাহ ርብኝ ! উপাদান পরিমাণ wfo- (Oxygen) ৯৭৫ পাউণ্ড কাব্বন ((arbon) R" o -- *T*CŞston (Hydrogen) > * * -- Rtototox (Nitrogen) 8" & -> Conson (Calcium) ס"ס ** *Tott (Phosphorus) ン"4 "" "fêtsotn. (Potassium) 4 * সালফার (Sulphur) 8 * (IfH- (Chlorine) R ” সোডিয়ম (Sodium) > * cwo safavin (Magnesium) : * * -> আয়রণ (Iron) ‘Y ফ্লোরিন (Fluorine) সামান্ত পরিমাণ fafs FA (Silicon) -- তোমর। একটা কথা জিজ্ঞাসা করিতে পার, এই সব উপাদান আমরা কোথা হইতে পাই ? এই পৃথিবীর মাটি, বাতাস ও জল হইতেই আমাদের দেহ গড়িয়া তুলিবার এই সব উপাদান আমরা পাইয়া থাকি । এখন আমরা কি খাইয়া বাচি এবং কিরূপ খাদ্য আমাদের শরীরের কিরূপ পুষ্টিসাধন করে, সে বিষয়ে তোমরা খাদ্য শস্ত’ পড়িয়া (শিশু-ভারতী) জানিতে



IEll م۔م۔