পাতা:শিশু-ভারতী - দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/২৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

龜子下 আমাদের দেহে মলিন বসন দেখিয়াছ। কুকুট স্বামীর পুণ্যস্পশে, আমাদের দেহ হইতে পাপের মলিনতা দূর হইয়াছে। তারপর বলিলেন, পুণ্ডলীক, তোমার মত পাপী পৃথিৰীতে দ্বিতীয়টি নাই, তুমি তোমার পিতামাতার প্রতি যে দুর্ব্যবহার করিতেছ, এ পাপের আর প্রতিকার নাই ; সাধা নাই যে, আমাদের এই সপ্ত নদীর পুণা জলে ও সেই পাপ ধুইয়া ফেলিতে পারে। সেদিন ইষ্টতে পুণ্ডলীকের আশ্চৰ্গা পরিবর্তন হইল ; পিতামাতার সেলায় সে আত্মসমৰ্পণ করিল। পিতামা তার প্রতি পুণ্ডলীকের অলৌকিক ভক্তির কপী ক্রমে দেশে দেশে ছড়াষ্টয়া পড়িতে লাগিল । দেল তার আসন টলিল। দাবক কষ্টতে ভগবান শ্ৰীকৃষ্ণ পণ্ডলীকের পিতৃমাতৃভক্তি পরীক্ষা করিবার জন্ম তাহার কুটবে আসিলেন। কৃষ্ণ বাহির হইতে ডাকিলেন, পুগুলীক । আমি আসিমাছি, একবার বাহিরে এস, তোমার সহিত আমার কয়েকটা কথা আছে। পৃ গুণীক তখন পিতামাতার চরণ সেবা করিতে ছিলেন , তাড়াতাড়ি একখানা ইট বাহিরে ফেলিয়। দিয়া কহিলেন--আপনি ওখানে দাড়ান ! অ’মি একটু পরেই আসিতেছি । শ্ৰীকৃষ্ণ সেই ইটপনার উপর দাড়াইয়া রছিলেন। পিতামাতার সেবা শেষ করিয়া পুণ্ডলীক বাহিরে আসিয়া কহিলেন, প্ৰভু আমার অপরাধ মাৰ্জ্জন করিবেন। শ্ৰীকৃষ্ণ হাসিয়া কহিলেন বৎস । আমি তোমার এই অসাধারণ পিতৃমাতৃভক্তি দেখিয়া সন্তুষ্ট হইয়াছি, আজ হইতে আমি এখানেই থাকিব । আমাকে তুমি বিঠোভা নামে অৰ্চনা করিও । এই পুণ্যস্থানে মহাপুৰুষ নয়নদেব বাস করিতেন। নয়নদেব দক্ষিণভারতের একজন শ্রেষ্ঠ ধাৰ্ম্মিক পুকস ছিলেন। নয়নদেবের পিতার নাম বিঠো ভা এবং মা তার নাম রাণ মাঠ। বিঠোভা সংসার ত্যাগ করিয়া একবার সন্ন্যাসী হইয়া গিয়াছিলেন, পরে আসিয়া আবার ঘর-গৃহস্থালী করিতে আরম্ভ করায় তাহীর জ্ঞাতি ও ব্রাহ্মণগণ বিরুদ্ধাচরণ করিতে থাকেন। এমন কি, তাহার জ্যেষ্ঠ পুত্র নিব্রক্তির উপনয়নে আসিয়াও তাহারা যোগ দেন নাই। সমাজচ্যুত বিঠোভা ইঞ্জিয়াণি নদীর ধারে একটি নির্জন গ্রামে গিয়া বাস করিতে লাগিলেন। Wex » • ब्पन्झङपcप्न*=व: পুত্রেরা আগন্দি গ্রামেই পড়িয়া রছিলেন। নিৰ্বত্তি ব্ৰাহ্মণদের কাছে বলিলেন -মাপনার আমাদিগকে সমাজে গ্রহণ করুন, উপনয়ন ও দক্ষিণ দিন। "মালন্দির ব্ৰাহ্মণেরা বলিলেন, তোমার যদি পৈঠান এামের ব্রাহ্মণদের কাছ হইতে অনুমতি-পত্ৰ আনিতে পার, তাহা হইলে আমরা তোমাদিগকে দীক্ষণ দিব এবং সমাজে গ্রহণ করিব। বড় ভাই নিৱৰ্ত্তি ছোট ভাই নয়নদেব এবং ভগিনী মক্তবাঈকে সঙ্গে লষ্টয়া পৈঠানে আসিলেন। এপানকরে রাহ্মণগণ র্তাহাদিগকে বিদ্রুপ করিতে লাগিলেন এবং পথের কুকুর, শয়ার, গব, বিড়াল সকলের কাছে মাথা নত করিয়া প্ৰণাম করিতে উপদেশ দিলেন । এমন সময় একটা মহিষ সে পথ দিয়া যষ্টিতেছিল। লক্ষিণের বিদ্ধপ করিয়া মহিসটাকে নয়নদেব (জ্ঞান দেবতা) নাম দিলেন এলং বলিলেন যে, আলন্দির এই ছেলেটিও নয়নদেৰ । নয়নদেব ব্রাহ্মণদিগকে বলিলেন, ষ্টা, আমি নয়নদেব, আর মহিষ ও নয়নদেব । এই বলিয়া নয়নদেব যেমন মহিষের গায়ে হাত বুলাইয়া দিলেন অমনি মহিষের মুখ কষ্টতে বেদমন্ত্র উচ্চারিত হইল ! এই আশ্চৰ্গা ঘটনায় বিক্ষিত হইয়া পৈঠান গ্রামের ব্রাহ্মণের মালন্দির ব্রাহ্মণদের নিকট ইহাদের নানারূপ সুখ্যাতি করিয়া ইফাদের পবিত্রতা সম্বন্ধে পত্র দিলেন। অলিন্দির ব্রাহ্মণের একবার নিব্রক্তি নয়নদেব প্রভৃতি সকলকে উপন্যান ও দীক্ষণ দিয়া সমাজে গ্রহণ করিলেন । নয়নদেব এই ঘটনার পর হইতে সম্পূর্ণভাবে ধান ও ধারণায় প্রবৃত্ত হইলেন। তাহার কবিত্বশক্তি ও ছিল অসাধারণ। মারাঠি ভাষায় তিনি গীতার এক অনুবাদ করিয়াছিলেন। উপনিষদের অনেক অংশও নয়নদেব মারাঠিতে অনুবাদ করিয়া ছিলেন। অল্পদিনের মধ্যেই কবি, ধাৰ্ম্মিক ও মহাপুরুষ বলিয়া দেশে দেশে নয়নদেলের নাম প্রচারিত হইয়াছিল। নয়নদেব যেমন কবিতা রচনা করিতেন, তেমনি তাহার ভগিনী মুক্তাবাঈ ও আভঙ্গ বা ছোট ছোট পদ্য রচনা করিতেন। একবার নয়নদেব রাগ করিয়া ভগিনী মুক্তাবাঈকে ,তাহার কুটীরে প্রবেশ করিতে নিষেধ করিলেন। মুক্তাবাঈ একখানি কাগজে কয়েকটি আভঙ্গ লিথিয় নয়নদেবের কুটীরে ফেলিয়া দিলেন। তাহাতে লেখা ছিল—


-