পাতা:শিশু-ভারতী - দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/২৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

-- উদ্ভিদের জীবনধারণের জন্ত জলের প্রয়োজনীয়তাও কত বেশী, তাহা তোমরা বুঝিতে পারিয়াছ। ইহা না থাকিলে কৈশিক মূলগুলি তরল অবস্থায় থাষ্মের উপাদানগুলি গ্রহণ করিয়া উদ্ধিদের শরীরে পাঠাইতে পারিত না। ইহা ছাড়া পাতার ও কাণ্ডের কোষের ভিতর যে প্রাণপদার্থ আছে উহা প্রচুর জল ব্যতিরেকে সঞ্জীবিত থাকিতে পারে না। ইহা ছাড়া কোষ গুলিও শক্ত ও টান থাকিতে পারে না। কোষগুলির মধ্যে প্রচুর পরিমাণে জল না থাকিলে গাছ নিছাঁৰ হইয় পড়ে—ডালপালা মুলড়াইয়া যায়। এই জন্য আমাদের মতই পানীয় হিসাবেও উদ্ভিদের জলের প্রয়োজন আছে ৷ কৈশিক মূল হইতে নানা প্রকারের উপাদানের সহিত জল পাতার কোষগুলির মধ্যে আসিয়া জমা হয়। কিন্তু কোষগুলির মধ্যে উছ বেশীক্ষণ থাকিতে পারে না। উপাদনগুলিকে কোষ, গুলির মধ্যে রাখিয়াই উহাকে সরিয়া পড়িতে হয় । কারণ, এক এক ফোটা জলের সহিত খুব অল্প পরিমাণ খাদ্ধের উপাদান আসে । এইরূপে অনবরত জল পাতার কোষের মধ্যে না আসিলে খাদ্ধের উপাদানও কম আসিবে। সেই কারণে জলের গতি অক্ষুণ্ণ রাপিবার জন্য জলকে অনবরত বাহিরে চলিয়া যাইতে হইবে । কোষগুলির জলধারণ শক্তির একটি সীমা আছে। পাতার মধ্যে অনেক ছিদ্র আছে ; ঐ সকল ছিদ্র বাতাসে পূর্ণ থাকে এবং বাতাসের সাহায্যেই কোষের ভিতরে জল শুকাইয়া যায় ও বাষ্পাকারে ৰাছির হুকয়। যায়। এইরূপে মাটি হইতে যে জল শিকড় দিয়া-কাণ্ডে ও কাও দিয়া পাতায় আসিতেছে, উহ অনবরত পাত হইতে বাস্পাকারে বাহির হইয়া যাইতেছে। যখন মাটিতে প্রচুর পরিমাণে জল থাকে, তখন পাতা হইতে যে পরিমাণ গতিতে জল ৰাম্পাকারে পাহির হইয়া যায়, ঐ পরিমাণ গতিতে জল মাটি হইতে কৈশিক মূলের সাহায্যে তৎক্ষণাৎ পাতার কোষের মধ্যে আসিয়া পড়ে। উদ্ধিদেব খাদ্য প্রস্তুত ও জীবন ধারণের জন্ত যে পরিমাণ জলের প্রয়োজন তাহা অপেক্ষ অনেক অধিক পরিমাণে জল উদ্ভিদের শরীরে প্রবেশ করে ও বাষ্পাকারে বাহির হইয়া যায়। কিন্তু যখন গ্রীষ্মের মাটি শুষ্ক হইয়া যায়, কিম্বা কোনও কারণে শিকড়ের সহিত মাটির সম্বন্ধ কতকটা বিচ্ছিন্ন হইয়া যায়, তখন পাতা হইতে যে পরিমাণ জল ৰাম্পাকারে বাহির হইয়া যায়, সেই পরিমাণ জল মাটী হইতে পাতায় আসিয়৷ পৌছিতে পারে না। ফলে গাছ fosteo-storiot छकाझेब्रा यांच्च unवश् छगtखां८द भब्रिग्रां यांच्च । अग cय ८करुण बान्नाकरग्रहे इक्र रुहेरठ वाश्द्रि रुझेब्रा यांग्न তাহা নহে, ঘৰ্ম্মরূপেও ৰাছির হইয়া যায় । অনেক সময় রাসায়নিক পরীক্ষা করিয়া দেখা যায় যে, যে যে উপাদানে উদ্ভিদের দেহ গঠিত অর্থাৎ যে যে উপাদান উদ্ভিদের খাদ্য প্রস্তুতের জন্য প্রয়োজন, তাহা পরীক্ষিত মাটিতে প্রচুর পরিমাণে বর্তমান আছে কিন্তু তথাপি উদ্ভিদ উছা গ্রহণ করিতে পারে না । কারণ, উদ্ভিদের প্রয়োজনীয় উপাদানগুলি জলের সস্থিত উহাদের গ্রহণের উপযোগী গলিত অবস্থায় নাই। ৰিশেষজ্ঞগণের বহু অনুসন্ধানের ফলে জানা গিয়াছে যে, উদ্ভিদের পুষ্টি ও বৃদ্ধির জন্য মাটি হইতে যে সকল উপাদানের দরকার তাছা মাটিতে প্রচুর পরিমাণে আছে। কিন্তু উহাদের কয়েকটি কোন কারণ বশতঃ উদ্ভিদ সহজে ও শীঘ্ৰ গ্ৰহণ করিতে পারেন। সেই জন্য কোন কোন উপাদান উদ্ভিদ স্বভাবতঃ মাট হইতে কম লইতে পারে, তাহার বহু পরীক্ষা হইয়াছে। ইহা বিভিন্ন প্রকারের উদ্ভিদ ও বিভিন্ন প্রকার মাটির প্রকৃত্তির তারতম্যেবউপর নির্ভর করে দেখা গিয়াছে, মাটি সাধারণতঃ যবক্ষণরজান, ফসফরাস ও পটাশ (ক্ষার) উদ্ভিদের প্রয়োজন অনুসারে পরিমিত মাত্রায় সরবরাহ করিতে পারে না । এইজঙ্কই আমাদের খাদ্যশস্ত ও অন্যান্য যে সকল গাছ-পালা আমরা রোপণ করি উহাদের খাস্কের জন্য মাটিতে সার প্রয়োগের দ্বারা ঐ তিনটি উপাদান বাড়াইয়া দিয়া উহাদের প্রয়োজন মিটাইতে ছয় । প্রধানত: উপরি উক্ত তিনটি উপাদানের সংমিশ্রণে যাবতীয় রাসায়নিক সার প্রস্তুত হইয় থাকে । এই অত্যাবগুক তিনটি উপাদান মোটামুটি কি কি কাজে লাগে, তাহা তোমরা মনে করিয়া রাখ । কারণ, তাহা হইলে তোমাদের বাগানের গাছপালার কখন কি উপাদানের দরকার, ভোমরা অনায়ালে বুঝিতে পারিবে এবং তোমাদিগকে জমিতে সার প্রয়োগের প্রয়োজনীয়তার কথা যখন বলিব, তখন তোমাদের তাহা বুঝিবার কষ্ট হইবে না । যৰক্ষারজান (Nitrogen)—উদ্ভিদের গঠনের জনা বিশেষ প্রয়োজনীয় । ইহার দ্বারা উদ্ভিদ বৃদ্ধিলাভ করে এবং কাও ও পাতাগুলি সতেজ হয়। এই উপাদানের অভাব হইলে উদ্ভিদ ক্ষুদ্রকায়, বিবর্ণ (হলদে) ও দুর্বল হইয় পড়ে। :

    • ौद्र

جمعیت