পাতা:শিশু-ভারতী - ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/১৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শিশু-ভারতী একদিন ডজার ও বেটুস অলিভারকে লইয়া বেড়াইতে বাছির হইল। বেড়াইতে বেড়াইতে ডজার ও বেটস একটা বইযেব দোকানের সামনে একজন বুডো ভদ্রলোককে একমনে বসিয়া বই পড়িতে দেখিয়া হঠাৎ বাস্তায় দাড়াইয়া পড়িল । তারপর ডজার আল বেট্স্ সেই ভদ্রলোকটর কাছে আগাইযা গেল। ডজার সুযোগ বুঝিয়া তাহার হাতখানা ঐ ভদ্রলোকের পাশের পকেটে ঢুকাইয়া দিয়া একটা রুমাল বাছিব করিয! আনিমাই বেটুসের ছাতে উহা চালান করিযী দিল। তাহার পরেই উহারা দুইজনে সেখান হইতে দিল দৌড়, আর গলির একটা মোড় ফিলির একেবালে অদশ্য হইয়া গেল । ব্যাপাব দেখিরা অলিভারের তো চক্ষুস্থির! সে একটু ইতস্তত: করিয়া তাহাব পরে দৌড় দিল। সেই বুড়ে। ভদ্রলোকটী ঠিক সেই - IT- - - - i- -io, T. J. -or

  • -** *

o క్ == F. ... I | 二三 --- - ocio- all r - वृ5= 1. To oão will -- ---. F in i. রুমাল চুরির অভিযোগে অভিযুক্ত অলিভার টুইষ্ট সময়েই র্তাহার রুমাল হাতড়াইয়া না পাইয়৷ এদিক ওদিক চাহিয়া অলি ভারকে ঐরকম করিয়া দৌড়াইতে দেখিয়া মনে করিলেন, “ওই ত চোর ভাগিতেছে!” তিনি বই হাতেই “চোর চোর” করিয়া তাহাব পিছনে পিছনে দৌড়াইতে লাগিলেন। যাহা হউক, অলিভারকে ধরিতে বিশেষ বেগ পাইতে হয় নাই। তাহাকে ধরিয়া থানায় হাজির করা হইল । বিচারে অলিভাবেব শাস্তি ঠিক হইয়া গেল। কিন্তু অলিভারকে বিচারালয়ের বাহিরে লইয়া খাই বাব পূৰ্ব্বেই বইয়েব দোকান-ওয়াল আসিয়া বিচাব ককে বলিল যে, সে নিজেব চোখে দেখিয়াছিল, অলিভাব চুরি কবে নাই। আর দুইজন ছেলে চুরি কবিয়া ভাগিষাছে। বিচারক তখন বইওয়ালাকে ধমক দিয়া বলিলেন—“তখন তখনই তুমি সত্যকগব চোরেদের ধর নাই কেন ? এতক্ষণ পবে তোমাব ছ’স ছইল ? ইহার অর্থ কি ?" বইওয়ালা উত্তল দিল—“তখন আমার দুই হাতেই অনেকগুলা বই ছিল, সেইজষ্ঠ আমি চোর ছেলেদুটাকে স্পষ্ট দেখিযাও ধরিতে পারি নাই।" তাছাল কথা শুনিসা বিচারালযের সকলে হো হো করিয়া হাসিয়া উঠিল। বিচারকও তাহার অদ্ভুত উত্তরে র্তাহার গাম্ভীৰ্য্য বজায় রাখিতে না পারিষা হাসিযা ফেলিলেন । এই সাক্ষীর ফলে অলিভার কিন্তু মুক্তি পাইল। বিচারালয়ের সকলে যখন বিচারের শেষে চলিয়। যাইবার উপক্রম করিতেছেন, তখন ভয়ে ও ক্লাস্তিতে অলিভার হঠাৎ মূচ্ছিত হইয়া পডিল। যে বুডে ভদ্রলোকটর পকেট হইতে রুমাল চুবি গিয়াছিল, তাহার নাম ব্রাউনলো। অলিভাবের অবস্থা দেখিয়া তাহার মন দয়ায় গলিয়া গেল। তিনি একখানা গাড়ী করিয়া উহাকে তাছার নিজের বাড়ীতে লইয়া গেলেন । ব্রাউনলোর আশ্রয়ে ব্রাউনলো লোকটী বড় দয়ালু ছিলেন। তিনি অলিভারকে তাহার বাড়ীতে রাখিয়া সেবা-শুশ্রীষা ও চিকিৎসা করাইয়া ভাল করিয়া তুলিলেন। অলিভার ভাল হইয়া উঠিয়া ব্রাউনলোকে বলিল, “আমি তো এখন ভাল হইয়া উঠিয়াছি। এখন আপনি তো আমাকে তাড়াইয়া দিবেন না ?” এই অনুরোধটুকু করিয়া বেচারী অলিভারের মুখ-চোখ এমন করুণ হইয়া উঠিল যে, তাহা দেখিয়া ব্রাউনলো খুব মেছের সঙ্গে তাহাকে বলিলেন,—“না, না, সে কি কখন হয় ? আমি ২১২৬