পাতা:শিশু-ভারতী - ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/১৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

-- ফ্যাগিন আর বিলের মারধোরের ভয়েতে অনেক সময় ছান্সিকে অনেক খারাপ কাজ করিতে হইত। প্রথমবারে অলিভারকে ধরিয়া আনিবার সময় সে অনেক প্রতিবাদ করিয়াছিল । কিন্তু তাহাতে কোনও ফল হয় নাই। এবারেও স্তান্সির প্রতিবাদে যখন কোনও ফল হইল না, তখন সে লুকাইয়া লুকাইয়া মাঝে মাঝে মিসেস মেলি ও র্তাহাব ভাইঝিব কাছে গিয়া সব ষ৬যন্ত্রের কথা বলিয়া দিয়া আসিত। অলিভার যাহাতে আর কোনও বিপদে মা পড়ে, সেইজন্য ব্রাউনলোকে খুজিযা বাচিব করা হইল। অলিভার ব্রাউনলোব কাছে ফিরিয়া গেল । অলিভাবের মুখে তাতব জীবমেব সব ঘটনা শুনিয়া ব্রাউনলে বুঝিলেন যে, অলিভাব তাঙ্গাবই এক বিশেষ বন্ধুব ছেলে । সেই বন্ধুটাই অলিভাবের মাযেব একখানা ছবি ব্রাউনলোকে দিয়া গিযছিলেন । সেই ছবিখনোই লাউমূলের ধবে টাঙান ছিল, আর তাইtলই সঠিত অলি ভাবেল মুগেব সাদৃশু দেখিম। তিনি খুব আশ্চৰ্য্য হইয়াছিলেন। অলিভারেল বাবাব নাম ছিল লিফোর্ড । তিনি খুবই ধণী ছিলেন। কিন্তু তিনি এমনি হঠাৎ মারা যান যে, মৃত্যুব সময়ে তিনি অলিভারেল মায়েব কোনও পোজ পৰ্য্যস্ত লইতে পাবেন নাই । তাহার উপর অলিভারেব মা তখন বিদেশে ছিলেন। অনেক দিন স্বামীর কোনও খোঁজ থবব ন পাইয়া অলি ভাবেব মা একদিন লণ্ডনে তঁহিব স্বামীব কাছে যাইতেছিলেন, তখন পথেই অলিভালেব জন্ম হয এবং তিনি সেইখানেই মাবা যান। এইজষ্ঠই অলিভার অনাথ-আশ্রমে মানুষ হইয়াছিল। অলিভার টুইষ্ট ব্রাউনলো অলিভারের বাবার বিষয়-সম্পত্তিরও খবর রাখিতেন। অলিভার বড় হইয়া যাহাতে সে-সব ফিরিয়া পায়, তিনি তাহার বন্দোবস্ত করিয়া ফেলিলেন। তারপর, তিনি র্তাহার বন্ধুব ছেলেকে খুব আদব-যত্ন করিয়া মানুষ করিতে লাগিলেন। ওদিকে ছান্সি সমস্ত যড়যন্ত্রের কথা প্রকাশ করিয়া দিয়াছে জানিয়া একদিন বিল এমনই বাগিয়া গেল যে, সে রাগের মাথায় ন্যান্সিকে খুন করিয়া ফেলিল। তারপর পালাইয়া গিয়া একট। পুবান বাড়ীতে লুকাইয়া রহিল। কিন্তু সেখানে পালাইয়া লুকাইল থাকিয়াও বিলু রেহাই পায় নাই। তন্ন তন্ন কবিয়া খুজিতে খুজিতে পুলিশের লোকে বা একদিন বিলের ঠিকানা বাছিব কবিয়া ফেলিল। তাহার পর সেই বাড়ীখানা ঘেরাও করিয়া তাহাকে ধরিয়া ফেলিবার উপক্রম কবিল। বিল ভয়ে ছাদে উঠিয়া পডিয়া দেখিল যে, বাউীব একপাশে একটা গভীর থানা আছে। উহা দেখিয়া সে দডি বাহিয়া উহাব মধ্যে নামিয়াপালাইবে বলিয়া স্থির কবিল। কিন্তু দডি বাকি যা নামিতে গিয়া তাহার গলায ফস লাগিয়া সে মরিয়া গেল। বুড়ে ফ্যাগিনও রেহাই পায় নাই। পুলিশেব লোকে বা তাহাকেও ধরিয়া ফেলিয়াছিল। অনেক লোকের সর্বনাশ করিয়াছিল বলিয়া বিচারে তাহার ফঁাসিব হুকুম হইল। সেও ফঁাসিকাঠে ঝুলিয়া মরিল। এইবার অলিভারের আর কোনও বিপদ বা ভযের সম্ভাবনা রহিল না। ব্রাউনলোর কাছে থাকিয় লেখাপড়া শিথিয়া সুখে-স্বচ্ছন্দে তাহার দিন কাটিতে লাগিল । ২১৩১