পাতা:শিশু-ভারতী - ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/১৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মালে, সেক্সপিয়র ও কেন জনসন ব্যাসানিও, অ্যাণ্টোনিও ও গ্র্যাসিয়ানো আসিয়া উপস্থিত হইলেন। ব্যাসানিও পোরসিয়ার সঙ্গে অ্যাণ্টোনিওর পরিচয় করাইয়া দিলেন এবং শুভেচ্ছা-জ্ঞাপন ও আদর-আপ্যায়ন শেষ হইতে না হইতে অন্ত প্রকোষ্ঠে নেরিসা ও গ্রাসিয়ানোর ঝগড়া শুনা গেল। নেরিস তাহার স্বামীর হাতে আংটী না দেখিয়া ভয়ানক ঝগড়া বাধাইয়া দিয়াছে। গ্রাসিয়ানোর কোন কথাই সে শুনিতে চায় না। পোবসিয়ার নিকট তাহারা বিচারের জন্য আসিল । পোরসিয়াও ব্যাসানিওর নিকট আংটী চাহিলেন। ব্যাসানিওর অবস্থাও তদ্রুপ। পোরসিয়া দেখাইলেন যে, তিনি খুব রাগ করিয়াছেন। ব্যাসানিও তাতাকে বুঝাইতে চেষ্টা করিলেন, কি অবস্থার বিপাকে পড়িয়া তিনি সে আংটী দিতে বাধ্য হইয়াছেন, কিন্তু সে কথা শুনে কে ? যতই তিনি বুঝাইতে চেষ্টা করিলেন, ততই তিনি উল্ট। বুঝিতে লাগিলেন। তখন ব্যাসানিও প্রতিজ্ঞা করিলেন, আর কখনও তিনি অঙ্গীকার ভঙ্গ করিবেন না। অ্যাণ্টোনিও দেখলেন যে, তিনিই যত অনিষ্টের মূল, সুতরাং তিনি বলিলেন, “একবার আমার বন্ধুর জন্য আমি আমার দেহ জামিন রাখিয়াছিলাম, এবার তাহার চেয়েও বড় আমার অবিনশ্বর আত্মা জামিন রাখিতেছি, ব্যাসানিও আর অঙ্গীকার ভঙ্গ করিবেন না।” তখন পোরসিয়া বলিলেন, “বেশ, তাহাই হোক, আমি আর একটা আংটা দিতেছি এটা যেন তিনি পূৰ্ব্বেব চেয়ে ভাল করিয়া রাখেন।” ব্যাসানিও তো আংটা দেখিয়া অবাক! এ যে তাহার পূর্বের আংটই। তখন পোরসিয়া সব খুলিয়া বলিলেন। পৌরসিয়াই অ্যাণ্টোনিওর জীবনদাতা তরুণ আইন ব্যাবসায়ী—র্তাহার বুদ্ধি ও প্রত্যুৎপন্নমতিত্বের জন্ত অ্যাণ্টোনিও জীবন পাইয়াছেন, এ কথা জানিতে পারিয়া দুই বন্ধু বিস্মিত হইয়া গেলেন। নেরিসাও গ্রাসিয়ানোকে আংটা ফিরাইয়া দিয়াছে। এইখানেই আনন্দের শেষ হইল না। পৌরসিয়া অ্যাণ্টোনিয়কে একখানা চিঠি দিলেন। অ্যাণ্টোনিও সে চিঠি পড়িয়া জানিতে পারিলেন, তাহার জাহাজগুলি মোটেই ডুবিয়া যায় নাই, বহু অর্থ লইয়া দেশে ফিরিয়া আসিয়াছে। বিপদের মেঘ কাটিয়া যাইবার পর ঘটনার এই শুভ পরিণতিতে সমস্ত গৃহে উৎসবের সাড়া পড়িয়া গেল । ব্যাসানিও ও গ্রাসিয়ানো বিচারালয়ে র্তাহাদের নিজ নিজ পত্নীকে চিনিতে পারেন নাই, চতুরতা দেখাইয়া পোরসিয়া ও নেরিস যে তাহাদের নিকট হইতে অঙ্গুরীয় লইতে পারিয়াছিলেন, এখন সেই সব কথা লইয়া খুব হাসি-তামাসা চলিতে লাগিল। গ্রাসিয়ানো নেরিসার নিকট হইতে পুনরায় অঙ্গুরীয় পাইয়া আনন্দিত হইল এবং একটা কবিতা রচনা করিয়া বলিতে লাগিল : বেঁচে থাকলো যতদিন ভাববো নাকে কিছু আর, শঙ্কামাত্র হারাই যদি নেরিসার উপহার। সেক্সপিয়র জন্মিবার নয় বৎসর পর বেন জনসন ( Ben Jonson ) জন্মগ্রহণ করেন এবং সেক্সপিয়রের মৃত্যুর ২১ বৎসর পর মৃত্যুমুখে পতিত হন। তাহার সময় হইতেই এলিজাবেথের যুগের নাটকের ( Elizabethan drama ) *(*:o' == *Itą g zņ বেন জনসন একজন ধৰ্ম্মযাজকের পুত্র এবং একজন প্রসিদ্ধ রাজমন্ত্রীর সৎপুত্র ছিলেন। তিনি খুব ভাল লেখাপড়া শিখিবার সুযোগ পাইয়াছিলেন এবং গ্রীক ও ল্যাটিন ভাষায় খুব দক্ষতা অর্জন করিয়াছিলেন। কিছু দিন যাবৎ জনসন তাহার পিতার শিক্ষানবিস করিয়াছিলেন কিন্তু অল্পদিন পরে সৈন্যদলে নাম লিখাইয়া তিনি নেদার &〉8や