পাতা:শিশু-ভারতী - ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/১৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রথম পরিচয় ইংরেজীতে এই বিদ্যার নাম Oceanography পুৰাকালে মহাসমূদ্রেব বিষয়ে বেশী কিছু জানা ছিল না। একে ত সে রকম মজবুত ও বড় জাহাজের অভালে খোলা সমুত্রে যাতায়াত কঠিন ছিল, তাষ আবার অজেয় সাগর-গর্ভেব অল স্থা ভাল করে পরীক্ষা করবাব বা সব জিনিস মাপজোখ করে দেখবাব উপযোগী যন্ত্রাদিও ছিল না। অবশ্য তীরের কাছে অল্প জলে ভাসমান প্রাণী ও উদ্ভিদের সঙ্গে মানুষেব পরিচয় অনেক কাল থেকেই আছে । সেই রকম বেলাভূমির উপব ঢেউযে ভেসে এসে পড়েছে এমন শৈবাল জাতীয আগাছা, জেলী মাছ, নানার কম তার মাছ, ঝিনুব শামুক জাতীয় শক্ত খোসাওয়ালা নানা জলজ প্রাণী, এ সবও মানুষ দেখছে সেই আদিম কাল থেকে। বড় জীবের মধ্যে তিমিমাছ কাচ্চা-বাচ্চ নিয়ে জলের উপব পেলা করতে আসে তীরের খুব কাছাকাছি, পাচ মাইলের মধ্যে। কখন কখন এক একট। প্রকাও মরা তিমি ভেসে এসে লাগে জলের মানুষের সঙ্গে তিমির סet ו sו?ןfr:I পরিচযও খুব পুবানে। অক্টোপাস নামে মে আটদশটা শুডিওয়ালা অস্তুত সমুদ্রের জীব আছে, তার সঙ্গেও প্রাচীন গ্ৰীক ও মিসরীদের, এমন কি আদিম অসভ্য মানবের, চেন-শুনো ছিল। কেন না এই অক্টোপাস কিনারার কাছে ছয় ফুট জলে পৰ্য্যন্ত আসা যাওয়া করে। কিন্তু এই সব সত্যিকার জীবজন্তুর সঙ্গে সঙ্গে সেকালের লোকে আবাব কত ৰকম কাল্পনিক রাক্ষুসে বা অৰ্দ্ধ-মানল জানোযারের অস্তিত্বে ও বিশ্বাস কবতেন। সে সব অত্যন্ধুত নক্র-কুম্ভীর, Mermaid, Harpy, Sea-Serpent কখনও যে সমুদ্রে যথার্থ ছিল, তা মনে করবার কোন কারণ নেই। এখনকার কালের জলজন্তু যে কেউ মানুষের মত কথা কয না, বা মানুষের মত অবয়বধারী নয়, এটা নিশ্চিত । লঙ্কাদ্বীপের কাছে কি পারস্য সাগরে ডুবুরীরা বহুকাল যাবৎ সমুদ্রতল হতে মুক্তার জন্য ঝিনুক তুলে আনছিল বটে। কিন্তু তাহদের ত কোন যন্ত্রপাতি ছিল না, তাই তারা অতি অল্প সময় মাত্র জলে ভুৰে থাকতে