পাতা:শিশু - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

অস্তসখী

রজনী একাদশী  পোহায় ধীরে ধীরে,
রঙিন মেঘমালা  উষারে বাঁধে ঘিরে।
আকাশে ক্ষীণ শশী  আড়ালে যেতে চায়,
দাঁড়ায়ে মাঝখানে  কিনারা নাহি পায়॥

এ-হেন কালে যেন  মায়ের পানে মেয়ে
রয়েছে শুকতারা  চাঁদের মুখে চেয়ে।
কে তুমি মরি মরি,  একটুখানি প্রাণ-
এনেছ কী না জানি  করিতে ওরে দান॥

মহিমা যত ছিল  উদয়-বেলাকার
যতেক সুখসাথী  এখনি যাবে যার,
পুরানো সব গেল—  নূতন তুমি একা
বিদায়কালে তারে  হাসিয়া দিলে দেখা॥

ও চাঁদ যামিনীর  হাসির অবশেষ,
ও শুধু অতীতের  সুখের স্মৃতিলেশ,
তারারা দ্রুতপদে  কোথায় গেছে সরে-
পারে নি সাথে যেতে,  পিছিয়ে আছে পড়ে॥

তাদেরি পানে ও যে  নয়ন ছিল মেলি,
তাদেরি পথে ও যে  চরণ ছিল ফেলি,