পাতা:শুভদা - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/১৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

གྱི་ཚོ་ Sb79 সে অঙ্গুলি হেলাইয়া যথেচ্ছ একটা দিক দেখাইয়া দিয়া সরিয়া পড়িল ৷ জয়ার মা সিড়ি বাহিয়া উপরে উঠিল। সেখানে কক্ষে-কক্ষে ঘুরিয়া বেড়াইতে লাগিল-কাহারও সহিত সাক্ষাৎ হয় না ; কিন্তু এ কি শোভা ! কি আসবাব, কি বহুমূল্য সাজ-সজ্জা ! সে পূর্বে সুরেন্দ্রবাবুর বাটীতে অনেকদিন ছিল, সেখানে বহু দ্রব্য দেখিয়াছে, কিন্তু এমন কখনও দেখে নাই। যত দেখিতে লাগিল তত ক্রুদ্ধ সৰ্পের মত ফোস ফেশ্বাস করিতে লাগিল। তাহার মনে হইতে লাগিল, এ সমস্তই জয়াবতীর হইত, আর সে জানো-হয়ত কোন সময়ে তাহারই বা হইতে পারিত না ? এইরূপে মনে মনে তৰ্ক-বিতর্ক করিতে করিতে সে একটা কক্ষে একজন স্ত্রীলোকের দেখা পাইল । পশ্চাৎ হইতে তাহাকে দেখিয়া জয়ার মা একজন পরিচারিকা স্থির করিল, ডাকিয়া কহিল, ওগো, তোদের গিল্পী কোথায় ? অস্বাভাবিক কর্কশ বচনে সে ফিরিয়া চাহিল। জয়ার মা দেখিল তাহার সামান্য বস্ত্ৰ, গাত্ৰে অলঙ্কারের নামমাত্ৰ নাই, মুখ দেখিয়া থমকিয়া দাড়াইল ; কৰ্কশ কণ্ঠস্বর নরুম হইয়া আসিল, বলিল, তুমি কে গা ? আমি এইখানে থাকি । তুমি কত দিন এসেছ ? প্ৰায় এক মাসের কিছু অধিক । তোমাদের গিয়ী কোথায় ? তুমি বুঝি তারি সঙ্গে এসেছ ? স্ত্রীলোকটা মাথা নাড়িয়া বলিল, তঁর সঙ্গে কিছু প্রয়োজন स्राgछ कि ? প্ৰয়োজন আমার ঢের আছে। সেই ডাইনি হারামজাদির মুণ্ডুটা আজ চিবিয়ে খাব। বলিতে বলিতে তাহার সেই পূৰ্ব্বভাব, সেই রুক্ষ মুখশ্ৰী, সেই অমানুষিক চোখের ভাব সমস্তই ফিরিয়া আসিল-জানিস