পাতা:শুভাশুভ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তারপর যথা নিয়মে চিঠিপত্র লেখালেখি করে জামাই এসে এক রাত্রি শ্বশুর। বাড়ী থেকে ব্রততী ও তার ছেলেকে নিয়ে গিয়েছিল। কারো সঙ্গে হাসিমুখে একটি মিষ্টি কথা বলেনি সোমনাথ। নেহাৎ যেন কায়ক্লেশে শ্বশুর বাড়ীর আদর যত্ন সহ করেছিল-উপায় নেই বলেই অনেক কিছু চুপচাপ মেনে নিয়েছিল। টের পাওয়া গিয়েছিল যে তার বড়ই রাগ আর অভিমান। প্ৰাণপণ চেষ্টা করেও তার রাগ অভিমান ভাঙতে ব্যর্থ হয়ে গিয়েছিল বাড়ীর সকলে । কেবল সমরেশকে সে খাতির করেছিল । সব সময় কাছে ডেকে রেখেছিল, হাসি গল্প চালিয়েছিল। আর থেকে থেকে এটা চাই ওটা চাই বলে নিজের দরকারগুলি মিটিয়েছিল । শ্বশুর বাড়ীর ওপর রাগ দেখিয়েছিল, নিদারুণ অনিচ্ছা দেখিয়ে খেয়েছিল। মাছ মাংস সন্দেশ রসগোল্লা । কে কি ভাববে অগ্ৰাহ করে ব্রততী নাকে মুখে ডাল ভাত গুজে তাকে जांभव्लांड iिcअछिल । আধঘণ্টার পর ব্রততীকে আর ভাল লাগেনি সোমনাথের । চোয়া ঢেকুর তুলতে তুলতে সমরেশকে বলেছিল, একটা সোডা এনে लिएड श्रiब्र ? বনমালী মহিমকে ব্রেক সারাতে বলেছিল, সতর্ক করে দিয়েছিল ষে নইলে দুর্ঘটনা ঘটবে। আজও সমরেশের মনে প্রশ্ন জাগে-বনমালী কি টের পেয়েছিল দুৰ্ঘটনা কি ভাবে আসবে ? শরীর খারাপ বলে রাত্রে কিছু না খেয়েই মহিম শুয়ে পড়েছিল। সংসারের সকলের খাওয়া দাওয়ার ঝনঝাট মিটিয়ে নিজে খেয়ে স্বামীর বিছানায় মাথায় কাচের টিপয়ে গ্লাসটা রাখতে গিয়ে মহিমের শোয়ার ভঙ্গি দেখেই খটকা লেগেছিল কল্যাণীর মনে । খাটের পাশে বসে নিত্যকার মত মাথা নামিয়ে ঘুম ভাঙ্গিয়ে কিছু খাবে কিনা জিজ্ঞাসা করতে গিয়েই টের পেয়েছিল, জিজ্ঞাসার চেষ্টা বৃথা । মহিমের ঘুম আর কোনদিনই কেউ ভাঙ্গাতে পারবে না, সে আর জাগবে न्, cन् रुद्र थ८ । । t » ዓ