পাতা:শুশ্রূষা - শ্যামাচরণ দে.pdf/১১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চম পরিচ্ছেদ । স্থানে উঠিবার সময় রোগীর মস্তক সম্মুখের দিকে এবং নামিবার সময় পশ্চাদিকে থাকা আবশ্যক । অন্য কারণে ফিট কিম্বা মূৰ্ছা হইলে উপরোক্ত রূপ উপায় অবলম্বন করিবে কিন্তু বলপ্ৰয়োগপূর্বক চৈতন্য সম্পাদন করিতে প্ৰয়াস পাইবে না। (২) মস্তকের খুলিতে আঘাত লাগিলে—উপরোক্ত উপায়ে গাত্রবস্ত্ৰাদি খুলিয়া রোগীকে স্তবভাবে শয্যায় শয়ন করাইবে এবং আহত স্থানে শীতল জলের পটি দিবে। শয়ান অবস্থায় মস্তকের নীচে একটী বালিশ দিবে। গুরুতর আঘাতে গা-হাত-পা শীতল হইলে গায়ে গরম কাপড় ঢাকা দিবে এবং প্রয়োজন হইলে বোতলসেক ( ৪৯ পৃষ্ঠা ) দিবে। তৎপর ডাক্তার আসিয়া যথাবিহিত ব্যবস্থা করিবেন । (১) কণ্ঠাতে আঘাত লাগিলে-রোগীকে শয্যার উপর বিনা বালিশে শুইতে দিবে এবং যে পাশে আঘাত লাগিয়াছে সেই দিকের হাত খানা বুকের উপর রাখিয়া দিবে। (৪) মেরুদণ্ডে আঘাত লাগিলে—আহত স্থানে বেদন অনুভব, হাত-পা অবসন্ন বোধ, হাঁটিতে অক্ষমতা এবং পা অসাড় বোধ হয়। আঘাত গুরুতর হইলে প্ৰস্লাব করিতে কষ্ট হয় এবং পেট ফাপিয়া উঠে। MYK DDDD BDBBDBDDY KDBDD BBLB OBLDS SBKLL দুর্ঘটনাতে সাধারণতঃ মেরুদেশে আঘাত লাগে যাহা রোগী নিজে তখন বড় একটা বুঝিতে পারে না । এ অবস্থায় রোগীকে নিরুদ্বেগে শুইয়া থাকিতে দিবে এবং বেদনাস্থানে জলপটি অথবা বরফ প্রয়োগ করিবে । (৫) পাজরার হাড় ভাঙ্গিয়া গেলে-রোগীকে শায়িত অবস্থায় রাখিবে এবং থুথুর সহিত রক্ত উঠিলে তাহা চিকিৎসককে দেখাইবার জন্য কোন একটী পাত্রে রাখিয়া দিবে। রোগী শায়িত অবস্থাতেই যাহাতে উক্ত পাত্রে থুথু ফেলিতে পারে এরূপ বন্দোবস্ত করিবে।