ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ। -Op-a- পথ্য প্রকরণ । ৬৬। পথ্যাপথ্য নির্ণয়-“বিনাপি ভেষজৈব্যাধি; পথ্যদেব নিবৰ্ত্ততে। নতু পথ্য বিহীনানাং ভেষজানাং শতৈরপি ॥” অর্থাৎ “ঔষধ ছাড়িয়া দিলেও কেবল পথ্যের জোরে রোগ সারে । কিন্তু পথ্য ছাড়িয়া দিলে শত শত ঔষধেও কিছু হয় না।” বাস্তবিকু ঔষধ সেবনকালে পথ্যবিষয়ে বিশেষ মনোযোগী না হইলে শত ঔষধেও কোন প্ৰতিকারের আশা থাকে না । এমন কি অনেক সময়ে কেবল পথ্যের দোষেই রোগ দূর হয় না। অতএব কোন রোগে কি পথ্য এবং কি অপথ্য তাহা নিৰ্চাচন করা নিতান্ত আবশ্যক। যাহা অপথ্য তাহ রোগীকে কখনই খাইতে দিবে না। যাহা পথ্য, রোগীর জীর্ণ শক্তির দিকে লক্ষ্য রাখিয়া তাহার পরিমাণ স্থির করিয়া দিবে। কেননা যাহা সুপথ্য তাহাও অতিরিক্ত পরিমাণে আহার করিলে অপকার হইতে পারে। (১) সাধারণ জ্বরে-জ্বরের প্রথম অবস্থায় লঙ্ঘনই উত্তম। জল-সাগু ( বালি বা এরারূট ) লবণ কিম্বা মিছরিসহ কয়েক ফোটা পাতিলেবুর রস মিশ্ৰিত করিয়া দেওয়া যাইতে পারে। বস্কা দুগ্ধের সহিত জলসাগু ( বালি বা এরারূট) মিছরি কিম্বা পরিষ্কার বাতাসা মিশ্ৰিত করিয়া খাইতে দিবে। দুধখই দেওয়াও মন্দ নহে, কারণ তাহাতে কোষ্ঠ পরিষ্কার হইবার পক্ষে সহায়তা হইবে । কিন্তু খই দিবার সময় যাহাতে উহা বেশ টাটুটা থাকে এবং তাঁহাতে বালি কিম্বা