পাতা:শুশ্রূষা - শ্যামাচরণ দে.pdf/৩০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দশম পরিচ্ছেদ । -singo mbrrr মুষ্টিযোগ প্রকরণ। ১৪২ ৷ অজীৰ্ণতা—হরীতকী পোড়াইয়া, সৈন্ধব লবণ, বিটলবণ ও যোয়ান ( যিমানী ) সমভাগ লইয, উত্তমকাপে বাটিয়া আধ তোলা হইতে এক তোলা পরিমাণ বটিকা প্ৰস্তুত কবিতঃ আহারের অব্যবহিত পরই গরম জল দ্বাবা সেবন করিলে সহজে পরিপাক হইবে। ১৪৩ ৷ অরুচি ও অগ্নিমান্দা—আমলকীর পাতা ঘুতে ভাজিয়া খাইলে অকাচি দূর হয়। হলকিস বা ঘলম্বসের (দণ্ড কলস) পাতা তৈলে ভাজিয়া খাইলে কচি হয় এবং মন্দাগ্নি দূর হয়। কচি ডালিমের বস, জীবাচুর্ণ, চিনি, মধু ও তৃত একত্র মিশ্ৰিত করিয়া মুখে রাখিলে সৰ্ব্বপ্ৰকার অরুচি আরোগ্য হয় । পুরাতন তেঁতুল ও গুডের জলে দাকচিনি, এলাচ ও গোলমরিচ চূর্ণ মিশ্ৰিত করিয়া মুখে ধারণ করিলে অকাচি দূর হয়। খৈ, কয়,তবেল, মধু, পিপুল ও গোলমরিচ চূর্ণ একত্র মিশ্রিত করতঃ অবলেহন করিলে অরুচি ও ৰমন প্রশমিত হয় । ১৪৪ ৷ অৰ্শ-হরীতকী, বয়ড়া ও আমলা, এই কয়টীি দ্রব্য পূর্ব রাত্রে ভিজাইয়া রাখিয়া পরদিন প্ৰাতে বাসি মুখে খাইলে অর্শ রোগ দমন হই থাকে । ওলটকম্বলের শিকড়ের ছাল অ্যাধ তোলা, গোলমরিচ ২॥টা এক সঙ্গে বাটিয়া তাহাতে উক্ত পরিমাণ চিনি মিশ্ৰিত করি যা সাত দিবস থাইলে অশেব উপশম হয় । আয়াপানের রস অৰ্দ্ধ ছটাক পরিমাণ পান করিলে অশের স্রাব নিবারিত হয় । মনসাসিজের আঠার সহিত কিঞ্চিৎ হরিদ্র চূর্ণ মিশ্রিত করত: বলির মুখে প্রলেপ দিলে উভা খসিয়া যায় । আকন্দের আঠা, মনসার আঠা, তিতুলাউ-এর কচিপাতা ও ডক্তব্য করঞ্জের ছাল সমভাগে লইয়া ছাগমূত্রে পেষণ করিয়া বলিতে প্রলেপ দিলে বিশেষ উপকার দর্শে। ঘোষালতার মূল বাটিয়া প্ৰলেপ দিলে অশের রক্তস্রাব নিবারিত হয । ১৪৫ । আঙ্গুলহাড়া-কচি বেগুনের মধ্যভাগে লবণ পুরিয়া তাহার ভিতরে স্ফীত অঙ্গুলি প্রবিষ্ট করিয়া রাখিলে কয়েক ঘণ্টা মধ্যেই উপশম হইবে। রোড়ীর (এরণ্ড ) পাতা পুক করিয়া আঙ্গুলে বাধিযা রাখিলে উপশম হইবে।