পাতা:শেষের কবিতা - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

In the hour my love cometh
And calleth me.
চুমিয়া যেয়ো তুমি
আমার বনভূমি,
দখিন-সাগরের সমীরণ,
যে শুভখনে মম
আসিবে প্রিয়তম—
ডাকিবে নাম ধ’রে অকারণ।

 লাবণ্য কাগজখানা ফিরিয়ে দিলে না।

 অমিত বললে, ‘এবারে তোমার চিঠির নমুনা দাও, দেখি তোমার শিক্ষা কত দূর এগোল।’

 লাবণ্য একটা টুকরো কাগজে লিখতে যাচ্ছিল। অমিত বললে, ‘না, আমার এই নোটবইয়ে লেখো।’

 লাবণ্য লিখে দিলে—

মিতা, ত্বমসি মম জীবনং, ত্বমসি মম ভূষণং,
ত্বমসি মম ভবজলধিরত্নম্।

 অমিত বইটাকে পকেটে পুরে বললে, ‘আশ্চর্য এই, আমি লিখেছি মেয়ের মুখের কথা, তুমি লিখেছ পুরুষের। কিছুই অসংগত হয় নি। শিমুলকাঠই হোক আর বকুলকাঠই হোক, যখন জ্বলে তখন আগুনের চেহারাটা একই।’

 লাবণ্য বললে, ‘নিমন্ত্রণ তো করা গেল, তার পরে?’

 অমিত বললে, সন্ধ্যাতারা উঠেছে, জোয়ার এসেছে গঙ্গায়, হাওয়া উঠল ঝির্ ঝির্ করে ঝাউগাছগুলোর সার বেয়ে,

১১৪