পাতা:শেষের পরিচয় - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শেষের পরিচয় দিন কাটে, কথাটা গেল বাহ্যতঃ চাপা পড়ে, কিন্তু বিদ্বেষ ও বিষের বীজাণু আশ্রয় নিলে পরিজনদের নিভৃত গৃহ-কোণে। যাদের সবচেয়ে বড় কোরে আশ্রয় দিয়েছিলেন একদিন নতুন মা-ই নিজে,-তাদেরই মধ্যে । কেবল আমাকেই যে একদিন ‘যাবে বাবা আমার কাছে ?” বলে। ঘরে ডেকে এনেছিলেন। তাই নয়, এনেছিলেন আরও অনেককেই। এ ছিল তঁার স্বভাব। তাই পিসতুতো বোন গেল চলে, কিন্তু পিসি রইলেন তার Cțiți fèCTS তারক শুধু ঘাড় নাড়িয়া সায় দিল। রাখাল কহিল, ইতিমধ্যে চক্রান্তু যে, কত নিবিড় ও হিংস্র হয়ে উঠছিলো তারই খবর পেলাম। অকস্মাৎ একদিন গভীর রাতে। কি একপ্রকার চাপা-গলার কর্কশ কোলাহলে ঘুম ভেঙে ঘরের বাইরে এসে দেখি সুমুখের ঘরের কবাটে বাইরে থেকে শিকল দেওয়া। উঠানের মাঝখানে গোটা পাঁচ ছয় লণ্ঠন। বারান্দার একাধারে বসে স্তব্ধ-অধোমুখে ব্ৰজবাবু এবং সেই ঘরের সামনে দাড়িয়ে নবীনবাবু-কণ্ঠার খুড়তুতো ছোট ভাই-রুদ্ধদ্বারে অবিরত ধাক্কা দিয়ে কঠিন কণ্ঠে পুনঃ পুন: হাকচোন,-রমণী বাবু, দোর খুলুন। ঘরটা আমরা দেখবো । বেরিয়ে । আসুন বলচি ! Xრო ইনি কলকাতার আড়ত থেকে হাজার কুড়ি-পঁচিশ টাকা উড়িয়ে কিছুকাল হোলো বাড়ীতে এসে বসেছেন ।. ২২ বাড়ীর মেয়েরা বারান্দার আশে পাশে দাড়িয়ে, মনে হলো চাকররা কাছাকাছি কোথাও যেন আড়ালে অপেক্ষা করে আছে ;-ব্যাপারটা:ঘুমচোখে প্রথমটা ঠাওর পেলামনা কিন্তু পরীক্ষণেই সমস্ত বুঝলাম । এখনি ভীষণ কি-একটা ঘট্টবে ভেবে ভয়ে সর্বাঙ্গ ঘেমে ভেসে গেল, চোখে অন্ধকার ঘনিয়ে এলো; হয়ত মাথা ঘুরে সেইখানে পড়ে যেতাম, কিন্তু তা” আর হোলোনা। দোর খুলে রমণীবাবুর হাত ধরে নতুন-মা বেরিয়ে এলেন। R