পাতা:শেষের পরিচয় - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৩১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শেষের পরিচয় &S 8 ংসারের বহুবিধ দুঃখে নিপীড়িত এই রোগাতুর বৃদ্ধের সরল চিত্তের পরিতৃপ্তির প্রফুল্লতাটুকু নষ্ট করিয়া দিতে র্তাহার মন সরিতেছিলনা, অথচ কথাটা এখানে না বলিলেও নয়। বৃদ্ধের ভ্রান্ত ধারণা সত্বর দূর করিতে না পারিলে জটিলতা বৃদ্ধির সম্ভাবনা । বিমলবাবু বলিলেন, আমি কাল বিশেষ ভাবে চিন্তা করে দেখেচিআপনার প্রস্তাব সম্বন্ধে। সকল দিক বিবেচনা করে রেণুকে গ্ৰহণ করাই স্থির করেচি। কিন্তু, এ সম্বন্ধে একটু কথা আছে। আপনি প্রতিশ্রুতি দিন, আমি যা’ চাইব, আপনি দেবেন। ব্ৰজবাবু বিমূঢ় নেত্ৰে বিমলবাবুর মুখের পানে চাহিয়া থাকিয়া অঙ্কুট কণ্ঠে কহিলেন, বলুন বিমলবাবু বলিলেন, আপনি আমাকে আপনার কন্যা দান করতে চেয়েছেন। আমি তাকে স্বেচ্ছায় ও সানন্দে গ্রহণই করতে চাই। যাগযজ্ঞ মন্ত্রোচচারণ করে ধৰ্ম্মতঃ সমাজতঃ ও আইনতঃ পত্নীরূপে গ্ৰহণ করলে সে আমার গোত্র ও উপাধি নিয়ে আমাদেরই বংশের অন্তভুক্ত হত। আমার সম্পত্তিতে তার অধিকার বাৰ্ত্তাত, আমার মরণে তাকে শৌচ স্পর্শ করত। আমি যাগযজ্ঞ মন্ত্রোচ্চারণ করেই ধৰ্ম্মতঃ সমাজতঃ ও আইনতঃ তাকে আমার দত্তক-কন্যারূপে গ্ৰহণ করতে চাই। তাতেও সে আমার বংশে ও ১ গোত্রে অধিকার পাবে । আমার সম্পত্তির উত্তরাধিকারিণী হয়ে আমার মরণে অশৌচ পালন করবে। ব্ৰজবাবু নিৰ্বোধি চাহনিতে বিমলবাবুর দিকে তাকাইয়া রছিলেন, কথা ऊि °ब्लिन्न् । বিমলবাবু বলিতে লাগিলেন, রেণু আপনার কতো স্নেহের সামগ্ৰী আমি জানি। আমারও সে কম মেহের নয়। ওকে সন্তানরূপেই গ্ৰহণ করতে আমি প্ৰস্তুত হয়েচি ।