পাতা:শেষের পরিচয় - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৩৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শেষের পরিচয় මී88 N বিমলবাবুর মুখের কথা কাড়িয়া লইয়া সবিতা বলিলেন,-তাড়াতে గూళ్ళి ধন্যবাদ। কেমন তো ? হ্যা, তাইই । এখন তারই সাধনা করাচি যে দয়াময়! কণ্ঠস্বর শেষের দিকে, ভারী হইয়া উঠিল, বিমলবাবু বিচলিত হইলেন। অপ্রত্যাশিত বিস্ময়ে এই অসতর্ক মুহূৰ্ত্তে তাহার মুখ দিয়া বাহির হইয়া আসিল-সবিতা ! সকরুণহাস্যে বিমলবাবুর পানে তাকাইয়া সবিতা কহিলেন, পরে সব বলবাে। এখন আমায় কিছু জিজ্ঞেস কোরোনা । --না, আমি সমস্ত না জেনে বাড়ী যাবোন । তোমাকে বলতে হবে কী হয়েচে ? --বলবো । বিকেলে এসে । রাত্রে বরং এখানেই খেয়ো । আমি এখন নিজের হাতেই রাধাচি । নিমণবায়ু বলিলেন, তাই হবে। কিন্তু দেখো, তখন যেন আমাকে * ফাঁকি দিয়ে অন্য কথায় ভুলিয়োনা। --ভয় নেই । জীবনে একমাত্র নিজেকে ফাকি দেওয়া ছাড়া আর কাউকে দিয়েছি বলে তো মনে পড়েনা। সবিতার কণ্ঠস্বর কঁপিয়া উঠিল। বিমলবাবু লক্ষ্য করিলেন, সবিতা আজ সহজ পরিহাসের উত্তরেও কি যেন গুরুবেদনায় গম্ভীর হইয়া উঠিতেছে। ইহা যে তাহার অন্তগুঢ়ি কোনও একটা বিক্ষোভেরই বহিলক্ষণ, ইহা বুঝিতে ভুল হইলন। তাই আর কোনও কথা না কহিয়া বিকালেই আসিবেন বলিয়া বিদায় গ্ৰহণ করিলেন। সন্ধ্যার কিছু পূৰ্ব্বে বিমলবাবু যখন আসিলেন, সবিতা এবেলার রন্ধন শেষ করিয়া সান্ধ্যস্নান সমাপন।ান্তে পরিচ্ছন্নবাসে তেতালার ছাদে একখানি ডেকচিয়ারে বসিয়াছিলেন। সামনে আর একখানি চেয়ার পাতা ।