পাতা:শেষের পরিচয় - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শেষের পরিচয় COم আমাদের বিফল হয়ে ফিরতে হয়েছিল, তার কারণ, বার হবার সময় আমি দুৰ্গা নাম উচ্চারণ করেছিলাম। হয়ত এ রকম দুর্ভোগ গুর কপালে পূর্বেও ঘটে থাকবে, তাই ও-নামটার ওপরেই তারক 5 ਕc শুনিয়া ব্ৰজবাবু প্রথমটা হাসিলেন, পরে হঠাৎ ছদ্মগাম্ভীৰ্য্যে মুখখানা অতিশয় ভারি করিয়া বলিলেন, হয় হে রাখালরাজ হয়,-ওটা মিথ্যে নয়। সংসারে নাম ও দ্রব্যের মহিমা কেউ আজও সঠিক জানেন । আমিও একজন রীতিমত ভুক্তভোগী। “ফুট-কড়াই” নাম করলে আর আমার রক্ষে নেই। জিজ্ঞাসু মুখে সকলেই চোখ তুলিয়া চাহিল ; রাখাল সহস্যে জিজ্ঞাসা করিল, কিসে ? ব্ৰজবাবু বলিলেন, তবে ঘটনাটা বলি শোন। ব্ৰজবিহারী বলে ছেলেবেলায় আমার ডাক-নাম ছিল বলাই । ভয়ানক ফুট-কড়াই খেতি ভালোবাসতাম। ভুগতোমও তেমনি। আমার এক দূৱ-সম্পর্কেল ঠাকুরমা সাবধান করে বলতেন-- ব’লাই, কলাই খেয়ে না।-- জানালা ভেঙে বেী পালাবে দেখতে পাবেন । ভেবে দেখ দেখি ছেলে-বেলায় ফুট-কড়াই খাওয়ায় বুড়ো-বয়সে আমার কি সর্বনাশ হলো ! এ কি দ্রব্যের দোষ-গুণের একটা বড় প্রমাণ নয় ? যেমন দ্রব্যের তেমনি নামেরও আছে বৈকি ! তারক ও রাখাল লজ্জায় অধোবাদন হইল। নতুন-মা ঈষৎ মুখ ফিরাইয়া চাপা গলায় ভৎসনা করিয়া কহিলেন, ছেলেদের সামনে এ তুমি Aকারচ কি ?