পাতা:শেষের পরিচয় - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

፵© শেষের পরিচয় । সুতরাং, পাণের ডিবা তেমনিই পড়িয়া রহিল, কেহ মুখে দিতে *लंप्लिन्न । তারক আসিয়া প্ৰবেশ করিল। তাহার বাসায় যাইবার কথা, অথচ যায় নাই, কাছেই কোথাও অপেক্ষা করিতেছিল। যে-কারণেই হোক সে দীর্ঘক্ষণ অনুপস্থিত থাকিতে চাহেন। তাহার এই অবাঞ্ছিত কৌতুহল :রাখালের চোখে বিসদৃশ ঠেকিল, কিন্তু সে চুপা করিয়াই রহিল। ব্ৰজবাবু বলিলেন, নতুন-বো, তোমার সেই মোটা বিছে-হারটা কি : ভট্টচায্যি মশায়ের ছোট মেয়েকে বিয়ের সময়ে দেবে বলেছিলে ? বিয়ে অনেকদিন হয়ে গেছে, দুটি ছেলে-মেয়েও হয়েছে, এতকাল সঙ্কোচে বোধ করি চাইতে পারেনি, কিন্তু এবার পূজোর সময়ে এসে সে হারটা চেয়েছিল,-“দেবো ? নতুন-বেী বলিলেন, হাঁ, ওটা তাকে দিয়ে । ব্ৰজবাবু কহিলেন, আর একটা কথা। তোমার যে-টাকাটা কারবারে লাগানো ছিল সুদে আসলে সেটা হাজার পঞ্চাশ হয়েছে। কি করবে: সেটা ? তুলে তোমাকে পাঠিয়ে দেবো ? তুলবে কেন, আরও বাড়, কিনা। না নতুন-বীে সাহস হয়না। বরিশালের চালানি সুপারির কাজে অনেক টাকা লোকসান গেছে,-থাকলেই হয়ত টান ধরবে । নতুন-বীে একটু ভাবিয়া বলিলেন, এ ভয় আমার বরাবর ছিল । গোকুল সাহাকে সরিয়ে দিয়ে তুমি বীরেনকে পাঠাও। আমার টাকা মারা যাবেন । ব্ৰজবাবুর চোখ দুটা হঠাৎ সজল হইয়া উঠিল। সামলাইয়া লইয় বলিলেন, নিজেও তো বুড়ো হোলাম গো, আরও খাটুবো কত কাল ? ভাবচি সব তুলে দিয়ে এবার