পাতা:শেষ প্রশ্ন.djvu/২৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

నవరి শেষ প্রশ্ন আণ্ডবাবু বলিলেন, গভীর পরিতাপের ব্যাপার সন্দেহ নেই, কিন্তু তোমার বাবা মত দিতে না পারলেও আমি না দিয়ে পারিনি। বেলা কহিল, Thanks, সে আমার মনে আছে আশুবাবু। আশুবাবু বলিলেন, তার কারণ স্ত্রী-পুরুষের সমান দায়িত্ব এবং সমান অধিকার আমি সম্পূর্ণ বিশ্বাস করি। আমাদেরু হিন্দু-সমাজের এটা মস্ত দোষ যে, শত অপরাধেও স্বামীর বিচারের ভয় নেই ; কিন্তু তুচ্ছ দোষেও স্ত্রীকে শাস্তি দেবার তার সহস্র পথ খোলা । এ বিধি আমি কোনদিনই ন্যায্য বলে মেনে নিতে পারিনি । তাই বেলার বাবা যখন আমার মতামত চেয়ে চিঠি লিখেছিলেন, তখন উত্তরে এই কথাই জানিয়েছিলাম যে, জিনিসটা শোভনও নয়, সুখেরও নয়, কিন্তু সে যদি তার অসচ্চরিত্র স্বামীকে সত্যই বর্জন করতে চায়, তাকে অন্যায় বলে আমি নিষেধ করতে পারবোনা । নীলিমা অকৃত্রিম বিস্ময়ে চোখ তুলিয়া প্রশ্ন করিল, আপনি সত্যিই এই অভিমত জব্লাবে লিখেছিলেন ? সত্যি বই কি । নীলিমা নিস্তব্ধ হইয়া রহিল । সেই স্তব্ধতার সম্মুখে আশুবাবু কেমন একপ্রকার অস্বস্তি বোধ করিতে লাগিলেন, বলিলেন, এতে আশ্চৰ্য্য হবার তো কিছু নেই নীলিমা । বরঞ্চ না লিখলেই আমার পক্ষে অদ্যায় হোতো । একটুখানি থামিয়া কহিলেন, তুমি তো কমলের একজুন বড় ভক্ত ; বলো ত সে নিজে এ-ক্ষেত্রে কি কোয়ত ? কি জবাব দিতে ? তাইতো সৈদিন স্থখন ওদের দু’জনের আলাপ করিয়ে দিই, তখন এই কথাটাই জোর দিয়ে বলেছিলাম, কমল, তোমার মত কোরে ভাব ড়ে, তোমার মত সাহসের পরিচয় দিতে কুবল একটি মেয়েকেই দেখেচি, সে এই বেলা ।