যে, সমস্ত কথা প্রকাশ করিয়া দেওয়া তাহার পক্ষেও মঙ্গল। কারণ, যখন তাহাকেও আমার সহিত ফাঁসি কাষ্ঠে ঝুলিতে হইবে, তখন যদি সমস্ত কথা প্রকাশ করিয়া কোনরূপে সে আপনাদিগের অনুগ্রহ-প্রার্থী হইতে পারে, তাহা সে না করিবে কেন? প্রকৃত কথা বলিলে আপনারা তাহার জীবন রক্ষা করিবেন, এই কথা যখন আপনারা সকলে মিলিয়া তাহাকে বুঝাইলেন, তখন সে তাহার অনিচ্ছা সত্তায়ও প্রকৃত কথা কহিল। আর প্রকৃত কথা না বলিলেই বা তাহার উপায় কি? আপনাদিগের কথা শুনিয়া সে সমস্ত প্রকৃত কথা প্রকাশ করিয়া দিয়াছিল বলিয়াই, আজ আপনারা তাহার জীবন রক্ষা করিলেন, সে কেবল মাত্র আমার বিপক্ষে সাক্ষ্য দিয়া পরিত্রাণ পাইল। নতুবা আজ আমার যে দশা, তাহারও ঠিক সেই দশা ঘটিত। এই কার্য্যের নিমিত্ত আমি প্রিয়কে দোষ দিই না, তাহার বুদ্ধিরই প্রশংসা করি। কারণ, আপনাদিগের কথা শুনিয়া, এই একমাত্র উপায় অবলম্বন না করিলে, তাহার আর কোনরূপেই বাঁচিবার উপায় ছিল না। আর আপনারাও যে, আমাকে ভয়ানক কৌশল-জালে ফেলিয়া আমার নিকট হইতে সমস্ত কথা বাহির করিয়া লইয়াছিলেন, তাহার নিমিত্তও আমি আপনাদিগের উপর কোনরূপ দোষার্পণ করি না। কারণ দোষীগণকে দণ্ড দেওয়াই আপনাদিগের কার্য্য।
“হরি যে নিরপরাধ, তাহা আপনারা পূর্ব্ব হইতেই জানিতেন, আপনারা কৌশল-জাল বিস্তার করিয়া, বাড়ীর সমস্ত লোকদিগের দ্বারা মিথ্যা কথা বলাইয়া, হরি যে এই ভয়ানক হত্যা করিয়াছে, তাহা লোক-দেখানমত প্রমাণ করিতেছিলেন সত্য; কিন্তু বলুন দেখি, যদি আমার নিকট হইতে প্রকৃত কথা প্রাপ্ত না হইতেন, তাহা