পাতা:শৈশব সঙ্গীত-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.djvu/৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩৬
শৈশব সঙ্গীত।

ঢেউগুলি জেগে ওঠে পুলিনের কানে কানে
কহে তার মরমের আশ।
তেমনি উঠিত হৃদে প্রশান্ত সুখের ঊর্ম্মি
অতি মৃদু, অতি সুশীতল,
বহিত সুখের শ্বাস; নাহিয়া শিশির জলে
ফেলে যথা কুসুম সকল।
অথবা যেমন যবে প্রশান্ত সায়াহ্ন কালে
ডুবে সূর্য্য সমুদ্রের কোলে,
বিষণ্ণ কিরণ তার শ্রান্ত বালকের মত
প’ড়ে থাকে সুনীল সলিলে।
নিস্তব্ধ সকল দিক, একটি ডাকে না পাখী,
একটুও বহে না বাতাস,
তেমনি কেমন এক গম্ভীর বিষণ্ণ সুখ
হৃদয়ে তুলিত দীর্ঘ শ্বাস।
এইরূপ কত কি যে হৃদয়ের ঢেউ খেলা
দেখিতাম বসিয়া বসিয়া,
মরমের ঘুম ঘোরে কত দেখিতাম স্বপ্ন
যেত দিন হাসিয়া খুসিয়া।
বনের পাখীর মত অনন্ত আকাশ তলে
গাহিতাম অরণ্যের গান,