পাতা:শৈশব সঙ্গীত-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.djvu/৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
দিকবালা।
৩৯

কোন কোন দিকবালা বসি কুতূহলে
আকাশের চিত্র আঁকে সাগরের জলে।
আঁকিল জলদ-মালা চন্দ্রগ্রহ তারা,
রঞ্জিল সাগর, দিয়া জোছনার ধরা।
পাপিয়ার ধ্বনি শুনি কেহ হাসি মুখে,
প্রতিধ্বনি রমণীরে জাগায় কৌতুকে!
শুকতারা প্রভাতের ললাটে ফুটিল,
পূরবের দিক্‌দেবী জাগিয়া উঠিল।
লোহিত কমল করে পূরবের দ্বার
খুলিয়া—সিন্দূর দিল সীমন্তে উষার।
মাজি দিয়া উদয়ের কনক সোপান,
তপনের সারথীরে করিল আহ্বান।
সাগর-উর্ম্মির শিরে সোনার চরণ
ছুঁয়ে ছুঁয়ে নেচে গেল দিক্‌-বালাগণ।
পূরব দিগন্তকোলে জলদ গুছায়ে
ধরণীর মুখ হ’তে আঁধার মুছায়ে,
বিমল শিশির জলে ধুইয়া চরণ,
নিবিড় কুন্তলে মাখি কনক কিরণ,
সোনার মেঘের মত আকাশের তলে,
কনক কমল সম মানসের জলে,