পাতা:শোধবোধ-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
প্রথম অঙ্ক
শােধ বােধ
তৃতীয় দৃশ্য

 সতীশ। তুমি ডেকেচো বলে’ বাগ ক’রবো, আমি এত বড় savage?

 নলিনী। সকল সময়েই নন্দী সাহেবের চেলাগিরি কোরো না। বলো দেখি, আমার জন্মদিনে তুমি আমাকে অমন দামি জিনিষ কেন দিলে? সেই তোমার নেকলেস?

 সতীশ। নেকলেস? সেটা কি তবে—

 নলিনী। ভুল বোঝো না—জিনিষটা খুব ভালো। কিন্তু তুমি যে ঐ টে কেনবার জন্যে—

 সতীশ। নেলি, চুপ চুপ, তোমাব মুখে আমি সে কথা শুন্‌তে পারবো না। কে তোমাকে কী ব’লেচে, সব মিথ্যে কথা, মিথ্যে কথা—

 নলিনী। হঠাৎ অমন ক্ষেপে উঠলে? কি মিথ্যে কথা? নেকলেস্‌টা তুমিই আমাকে দিয়েচো, সে ও কী মিথ্যে কথা?

 সতীশ। না, না, হাঁ, তা হ’তেও পারে, এ রকম করে’ দেখ্‌লে হয় তো—

 নলিনী। নেকলেস্ এক রকম করে’ ছাড়া আর ক’রকম করে’ দেখা যায়? কথা উঠ্‌তে না উঠ্‌তেই আগে থাকতেই তুমি যেন—

 সতীশ। আচ্ছা, তা বলো, কি ব’লছিলে বলো।

 নলিনী। কিচ্ছু না, খুব সাদা কথা, অমন দামী জিনিষ আমাকে কেন দিলে?

 সতীশ। আচ্ছা বেশ, তা’হ’লে আমাকে ফিরিয়ে দাও।

 নলিনী। ঐ দেখ আবার অভিমান।

 সতীশ। আমার মতো অবস্থার লোকের অভিমান কিসের? দাও তবে ফিরিয়েই দাও।

[ ৪১