নন্দী। হাঁ, ভুল ঠিকানায় গিয়ে পৌঁছই—
চারু। তার পরে redirected হ’য়ে—
নন্দী। ঘুরে আস্তে হয়।
চারু। আজ আপনার কপালে তারি ছাপ দেখ্তে পাচ্চি।
নন্দী। ছাপের সংখ্যা আর বাড়াবেন না, তাহলে কলঙ্কের চিহ্নটাই জাগ্বে, ঠিকানাটাই প’ড়্বে চাপা।
চারু। আপনার মতো আলাপ ক’রতে আমি কাউকে শুনিনি— চমৎকার কথা কইতে পারেন।
নন্দী। শুধু যে কেবল কানে শোনা কথাই আমার সম্বল, তা নয়, হাতে সোনাও জোগাতে পারি, এইটে প্রমাণ ক’রতে দিন।
চারু। আপনি বাংলাতেও pun ক’রতে পারেন—ক্ষমতা আছে। কিন্তু মিষ্টার নন্দী, ও ব্রেস্লেট্ তো নেলির—
নন্দী। সেইটেই তো হ’য়েছিলো মস্ত ভুল। শোধ্রাবাব opportunity যদি না দেন, তা’হ’লে উদ্ধার হবে কি ক’রে?
চারু। ঐ নেলি আস্চে, চলুন আমরা ঐ দিকে যাই।
নেলি ও সতীশের প্রবেশ
নলিনী। যথেষ্ট হ’য়েছে সতীশ, আজ যদি মিষ্টি কথা ব’ল্বার চেষ্টা করো, তা’হ’লে কিন্তু রসভঙ্গ হবে।
সতীশ। আচ্ছা, আমাকে যদি একেবারে চুপ করিয়ে রাখ্তে চাও, তা’হ’লে ঐ গানটা আমাকে শোনাও।
নলিনী। কোন্টা?
সতীশ। সেই যে “উজাড় করে দাও হে আমার সকল সম্বল।”