নলিনী। তবে বুঝিয়ে দিই কেন যে মন চঞ্চল হ’য়েছে। ধৈর্য্য আর রাখ্তে পার্চিনে। ওরে পত্তুলাল, ডেকে দে তো লালবাজার থেকে চিঠি নিয়ে এসেচে।
চারু। মিষ্টার নন্দীর চিঠি? কী লিখেচে?
সে আমার গোপন কথা, শুনে যাও ও সখি!
ভেবে না পাই ব’ল্বো কী?
চারু। হাঁ ভাই, বল্ ভাই বল্, কিন্তু সাদা কথায়।
নলিনী। অবস্থাগতিকে সাদা কথা যে রাঙা হয়ে ওঠে।
গান
প্রাণ যে আমার বাঁশি শোনে
নীল গগনে,
গান হয়ে যায়,মনে মনে যাহাই বকি।
চারু। তুই ভাই এই সব সখীকে-ডাকপাড়া সেকেলে ধরণের গান কোথা থেকে জোগাড় করিস্ বল্ তো?
নলিনী। খুব একেলে ধরণের কবির কাছ থেকেই।
চারু। মিষ্টার লাহিড়ি রাগ করেন না?
নলিনী। বাংলা সাহিত্যে কোন্টা একেলে কোন্টা সেকেলে, সে তাঁর খেয়ালই নেই। একটি গান সব চেয়ে তাঁর পছন্দ, সেইটে তাঁকে শুনিয়ে দিলেই তিনি নিশ্চিন্ত হ’য়ে বোঝেন যে, ইহকাল পরকাল কোনো কালই যদি আমার না থাকে, অন্তত modern কালটা আছে—