পাতা:শ্যামল ও কাজল - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্যামল ও কাজল ইহার মধ্যে মহেন্দ্রসেনের এক বিশ্বাসঘাতক মন্ত্রী গোপনে সর্দারের সঙ্গে দেখা করিয়া রাজসৈন্য কোথা হইতে কত আসিতেছে, হরিশ্চন্দ্র রাজার কুবের তুল্য ঐশ্বৰ্য্য-ভাণ্ডার কোথায় লুক্কায়িত থাকার সম্ভাবনা, কৈবৰ্ত্ত সেনাপতির বর্তমান যুদ্ধের প্রণালী সম্বন্ধে নির্দেশ-এ সকল সংবাদ জানাইতে প্ৰতিশ্রুতি দিয়া গেলেন, যদি যুদ্ধজয়ের পর সাভার রাজ্যের একাংশের অধিকার তাঁহাকে দেওয়া হয়, এই সৰ্ত্তে তিনি সমস্ত সন্ধান দিতে সম্মত হইলেন। সর্দারাজি বলিলেন-“আপনি যদি আমাদের সহায়তা করেন, তবে অবশ্য মহারাজ। আপনাকে পুরস্কৃত করিবেন। কিন্তু এসকল বিষয়ে কোন নিশ্চিত কথা বলিবার অধিকার আমার নাই । আমি রাজা ও মন্ত্রীর অধীন সেনাপতি মাত্র । অবশ্য যুবরাজ এখানে আছেন, কিন্তু তিনি অতি তরুণবয়স্ক।” এই অনিশ্চিত আশা পাইয়াও শুধু সেই মন্ত্রীটি নহেন, মহেন্দ্র সেনের কৈবৰ্ত্ত আত্মীয় এবং তাহার দ্বারা অশেষরূপ, উপকৃত সুহৃদ্বর্গের কেহ কেহ রাজবাড়ীর ফাক ও দুর্বল অংশের ইঙ্গিত দিয়া সুয়াপুরের কর্তৃপক্ষের কাছে আনাগোনা করিতে লাগিলেন। শ্যামল বলিল-“প্রাচীন হইলে সকল জাতিরই এইরূপ অধঃপতন হইয়া থাকে। তখন যাহার নুন খাইয়া লোকে মানুষ হয়, তাহারই গল কাটিবার জন্য সেই সকল অকৃতজ্ঞ নরাধম গুপ্ত অসি শাণিত করে। আমাদের জাতির পতন অবশ্যম্ভাবী।”