পাতা:শ্যামল ও কাজল - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্যামল ও কাজল • হ্যামল उांश কৃষ্ণসারের চৰ্ম্ম-নিৰ্ম্মিত একটি কৌটার মধ্যে রাখিয়া দিয়াছিল ; বাবার আজ্ঞায় তাহা লইয়া আসিল । তিনি জিজ্ঞাসা করিলেন-“আজি কি তিথি ? শ্যামল বলিল-“আজই কৃষ্ণা দ্বাদশী তিথি, আমার বয়স আজ ২৪ বৎসর পূর্ণ হইবে।” বাবাজী-“তুমি আমার কাছে আসিবে, আমি তাহা জানিতাম। কিন্তু তুমি মাদুলীটির কথা ভুলিয়া গিয়াছিলো।” ৮। শ্যামল-এই কয়দিন বালকের চিন্তায় আমি আত্মবিস্তৃত छिब्लाश " বাবাজী-“যাহা হোক, মাদুলীটি ভাঙ্গ।” মাদুলীর ভিতর কাগজখানি অতি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মুক্তর-মত অক্ষরে লেখা । সন্ন্যাসী বলিলেন-“ইহা তোমার মাতার হস্তলিপি, মৃত্যুর পূর্বদিন তিনি এই কাগজখানি লিখিয়াছিলেন!” পশু । শ্যামলের চক্ষের জল কোন বাধা মানিল না । কাগজখানি মাথায় ঠেকাইয়া সে আদ্যন্ত পাঠ করিল। সে বুঝিল, তাহার পিতামহ মহেন্দ্র সেন এবং পিতা বিমলেন্দু সেন। তাহারু পিতার অকাল মৃত্যুর পর হইতে তাহার মাতার উপর র্বৈবৰ্ত্ত সেনাপতির হিংস্ৰ দৌরাত্ম্যের কথা, তাহার পর যে কষ্টে তিনি গৃহ ত্যাগনী হ’ন,-সে সমস্ত কথা তিনি কঁাদিতে কঁাদিতে লিখিয়াছিলেন, তাহার চোখের জলে কয়েকটা অক্ষর মুছিয়া গিয়াছিল।” ।