পাতা:শ্যামল ও কাজল - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্যামল ও কাজল রোউয়ার সমস্ত চণ্ডাল সর্বপ্রথম ইসলামের দীক্ষা গ্ৰহণ করিল। তথায় কুম্ভকারেরা পাষাণ ও মৃত্তিকার অপূর্ব মূৰ্ত্তি গড়িয়া দেশ-বিদেশে চালান দিত, তাহারা ও তথাকার অন্যান্য সকলে ইসলাম ধৰ্ম্মাবলম্বী হইল। চণ্ডালের পূর্ববঙ্গে যে যেখানে ছিল, সকলেই কিছুকালের অধ্যে মুসলমান হইয়া গেল। মোল্লারা বলিল,-“তোমাদের জীবিকা-অৰ্জন ও আমোদ প্ৰমোদের জন্য যে যাহা করিতে, তাহা ছাড়িবার প্রয়োজন নাই । মাতৃ-ভাষাই তোমাদের পরম পবিত্র ভাষা ; ইহা হইতে কোন ভাষা শ্রেষ্ঠ নহে। কারণ, মাতৃস্তন্যের সঙ্গে সঙ্গে তোমরা মাতৃ-মুখ হইতে ইহা শিখিয়াছি।” যাহার কালিকা-মঙ্গল, মনসামাদল, লক্ষ্মীর পাচালী গাহিত, রূপ-কথা, ও গীতি-কথা আবৃত্তি করিত, তাহারা সেই সেই কাজে বাদাসাহের উৎসাহ পাইল। মাছগুলি জল হইতে যেন ডাঙ্গায় উদ্ধৃত হইয়া পুনরায় জল পাইয়া বঁচিল । চণ্ডাল ভিন্ন কৈবৰ্ত্ত প্রভৃতি শ্রেণীরও দশ আনা তৎপথাবলম্বী হইল-যার যার জাতীয় ব্যবসা ও আমোদ-প্ৰমোদ তাহারা ছাড়িল না, মুসলমান হইয়াও পাচালী, রূপ-কথা ও ছড়া গাইতে নিষেধ রহিল না। তাহাদের সর্বপ্রধান আক্রোশ পড়িল বাজাসন বিহারের উপর। সেই তান্ত্রিক, সহজিয়া, পরকীয়া ও একাভিপ্ৰায়ী দলের আডডা তাহারা ভাঙ্গিয়া চুরমার করিল। সুয়াপুরীর মন্ত্রী তাহার নিজ প্রজাদের হাতেই নিহত হইলেন। যে নান্না ও সুয়াপুর বহু ভৈরবী-চক্রের সমাবেশে “স্বয়াপুর, নান্না’ মদে ভাতে পায়া” SR е ә