পাতা:শ্যামল ও কাজল - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হ্যামল ও কাজল অধিকার চালাইতেছিলেন। ইহারা ভিক্ষুদিগের মুখ-দর্শন পাপ মনে করিতেন। ভিক্ষু ও ভিক্ষুণীদের ব্যাভিচারের দরুণ সঙ্ঘারামগুলিকে ইহার শৌণ্ডিকালয়ের ন্যায় অপবিত্ৰ মনে করিতেন। মুণ্ডিত মস্তক ভিক্ষু ও ভিক্ষুণীদের ‘নেড়ানেড়ি’ উপাধি দিয়া তাহাদিগের সঙ্গে এক পথে চলিতেন না। স্বর্ণগ্রামের রাজবাড়ীতে ধীমন্তসেনের প্রশ্রয়ে যখন শ্রমণ ও ভিক্ষুণীরা সর্বত্র আনাগোনা করিত, তখন কণোজিয়া ব্ৰাহ্মণদের চক্ষে তাহা দুঃসহ হইয়াছিল। ধীমন্তসেনের ভ্রাতারা এসকল কথা লইয়া সর্বদা র্তাহাকে বিদ্রুপ, উপহাস, এমন কি সুতীক্ষ বিদ্বেষপূর্ণ উক্তি করিতেন। একদিন সিদ্ধবাজ নামক এক বিখ্যাত শ্রমণ রাজবাড়ীতে কুমার ধীমন্তসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করিতে আগমন করেন ; কুমার তাহার অভ্যর্থনার জন্য খুব সমারোহপূর্ণ আয়োজন করিয়াছিলেন। এদিকে ভ্রাতাদের মধ্যে গোপনে ষড়যন্ত্র চলিতেছিল। তঁহারা প্রতিহারী, নৌবারিক ও দ্বাররক্ষীদিগকে শিখাইয়া রাখিয়াছিলেন, যখন মুণ্ডিত মস্তক শ্রমণ র্তাহার সহচরদের সঙ্গে রাজবাড়ীর নয় মহল-বিস্তৃত। পুরীর প্রথম তোরণে পদার্পণ করিবেন, তখন যেন সোণার দণ্ড হন্তে দ্বার রক্ষকেরা তঁহাকে অপমানপূর্বক পুরীতে প্ৰবেশ নিষেধ করে। আগুনের স্মৃলিঙ্গ অনেক পূর্বেই ধিক ধিকি জ্বলিতেছিল - এবার তাহা শত শিখায় প্রজ্জ্বলিত হইয়া উঠিল। " মহারাজ ভীমসেনের কাছে উপস্থিত হইয়া কুমার ধীমন্ত সেন ver