পাতা:শ্যামল ও কাজল - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ক্যামল ও কাজল হইতে,-বৃক্ষচুড়া হইতে ও ঝোপ জঙ্গলের মধ্য হইতে হ্রস্ব দীর্ঘ ও উদাত্ত সুরের ধ্বনি হইতেছে। রাজবধু বুঝিলেন, যেন প্রকৃতিদেবী মায়ের মত র্তাহাকে বিচিত্ৰ ভাষায় আদর করিতেছেন, যাদু-স্পর্শ দ্বারা তাতার বুকে হাত বুলাইয়া দিতেছেন। সহস্ৰ কষ্ট্রের মধ্যেও তিনি এই পাহাড়ের জঙ্গলে মুক্তির আনন্দ উপলব্ধি করিলেন । র্তাহার প্রথমে দেখা ফুটুল একজন বৃদ্ধ মহিষপালের সঙ্গে। তাহার বয়স প্রায় আশি,-একটি দাঁতও নাই, মাথার চুল সমস্তই উঠিয়া গিয়াছে। একেবারে বিরলকেশ মাথাটি একটি বড় তরমুজ বা কুমড়ার মত দেখাইতেছে। প্ৰভাত-সুৰ্য্যের আলো পড়িয়া মাথাটা চিক চিকা করিতেছে-হস্তের শিরাগুলি শিথিল, তাহার উপর কেহ যেন আলগা ভাবে চামড়া আটকাইয়া রাখিয়াছে। এই লোকটি বহু কষ্টে একটি খুটি পুতিয়া লম্বা, একটা দড়ি দিয়া মহিষটাকে বঁধিল, তাহার পর পশ্চিমের পথ। ধরিয়া নিকটবৰ্ত্তী পল্লীর দিকে আসিতে লাগিল। তাহার সম্মুখেই স্বর্ণমঞ্জরী, তঁাহার শিশুটি আঁচলে ঘেরা। তিনি তাহার কুঞ্চিত কেশরাশি আসিবার সময় কাটিয়া ফেলিয়াছিলেন। তথাপি সে কি রূপ! ভষ্মের মধ্যে যেমন ফুলিঙ্গ সহসা দীপ্তি পায়, সে ক্ষীণ বসন ও আভরণহীন দেহ হইতে র্তাহার রূপের প্রভা বাহির হইয়া তেমনই সূৰ্য্যালোকের সঙ্গে মিশিয়া যাইতেছিল। " স্বর্ণমঞ্জরী নিজেই অগ্রসর হইয়া মহিষপালককে বলিলেন“আমি বড় বিপন্ন, আমার এই শিশুটি সারা রাত্রি কিছুই খায় bም8