প্রয়োজন হইবে না। বাঙলা ভাষা আজ নিজের ঐশ্বয বলে জগতের শ্রেষ্ঠ ভাষাসমহের অন্যতম বলিয়া গণ্য হইয়াছে। হিন্দন্থানীর ন্যায় তাহাকে যদি গণভাষার পে ব্যবহার করিতে জনসাধারণ অসমর্থ হয়, তবে তাহা লইয়া আক্ষেপ করিব কেন ? ভাষার উন্নতি এবং প্রসারের জন্য যথাসাধ্য চেন্টা করা আমাদের কতব্য এবং সে কতব্য আমরা ঐকান্তিকভাবে নিম্ঠার সহিত পালন করিব। আমাদের ভাষালক্ষীর মযাদা তাহাতেই সমধিক রক্ষিত হইবে। কত লোকে এক একটা ভাষাকে মাতৃভাষার পে ব্যবহার করে তাহার হিসাব করিয়া দেখিলেও পথিবীর মধ্যে বাঙলার স্থান সপ্তম এবং ভারতের মধ্যে প্রথম। ইহা বিশেষজ্ঞের মত। আর যদি আদমসমারির হিসাবের উপর নিভাির করা যায়, তবে বাঙলার পথিবীর মধ্যে অস্টম এবং ভারতের মধ্যে দ্বিতীয় স্থান। তাহাও বড় কম গৌরবের কথা নহে। ১৯৪১-এর আদমসমারিতে ভাষার হিসাব বাদ দেওয়া হইয়াছে, তাহা হয়তো আপনারা লক্ষ্য করিয়া থাকিবেন। ১৯৪১-এ বাঙলার অধিবাসীর মোট সংখ্যা ছয় কোটি চৌদ্দ লক্ষ ষাট হাজার তিন শ। সাতাত্তির। ১৯৩১-এ মোট অধিবাসীর শতকরা ৯২ জনের ভাষা বাঙলা ধরা হইয়াছিল। সেই হিসাবে এবারে বঙ্গভাষাভাষী বাঙালীর সংখ্যা হওয়া উচিত পাঁচ কোটি পয়ষটি লক্ষ তেতাল্লিশ হাজার পাঁচশ সাতচল্লিশ (৫৬৫,৪৩,৫৪৭) । ইহা ছাড়া বাঙলার বাহিরে আসাম উড়িষ্যা এবং বিহার ও অন্যান্য প্রদেশের অধিবাসী অনেক বাঙালী আছেন, যাঁহারা আজও মাতৃভাষার পে বাঙলার ব্যবহার করিয়া থাকেন। সতরাং দেখা যাইতেছে, বঙ্গভাষাভাষী ভারতীয়ের সংখ্যা কমপক্ষে ছয় কোটি। এই সংখ্যা উত্তরোত্তর বধিত হউক, ইহাই আমাদের কামনা। অন্তত এটাকু আমাদের দেখিতে হইবে, বাঙালীর মধ্যে, তিনি বতমানে যে প্রদেশেরই অধিবাসী হউন না কেন, একজনও যেন বাঙলা ভাষায় অজ্ঞ না থাকেন । পরম আনন্দের বিষয় যে জামসেদপত্র শিক্ষাপ্রচার-সমিতির উদ্যোগে অশিক্ষিত জনসাধারণকে বাঙলা ভাষা শিক্ষা দেওয়া হইতেছে। ধামধালির ঘণিবাত্যার উদ্ধের্বও যাঁহারা জ্ঞানের পবিত্র বহ্নিশিখাটি পাত্র। সবণ প্ৰদীপের সংস্থান না হইয়া থাকে না হইল, তাহার জন্য ᏬᏓᎴ
পাতা:শ্যামাপ্রসাদের কয়েকটি রচনা.pdf/৪৪
অবয়ব