w8 ঐীকান্ত গিয়াছিল। শ্রান্ত হইয়া বাইজী গান থামাইয়াছে, হঠাৎ গল্পের সেরা গল্প—ভূতের গল্প উঠিয়া পড়িল । নিমিষে, যে যেখানে ছিল, আগ্রহে বক্তাকে ঘেরিয়া ধরিল। প্রথমটা আমি তাচ্ছিলাভরেই শুনিতেছিলাম। কিন্তু শেষে উৎগ্রীব হইয়া উঠিয়া বসিলাম । বক্তা ছিলেন, একজন গ্রামেরই হিন্দুস্থানী প্রবীণ ভদ্রলোক । গল্প কেমন করিয়া বলিতে হয় তাহা তিনি জানিতেন । তিনি বলিতেছিলেন, প্রেত-যোনিতে যদি কাহারও সংশয় থাকে—যেন আজিকার এই শনিবার অমাবস্ত| তিথিতে, এই গ্রামে আসিয়া চক্ষু-কর্ণের বিবাদ ভঞ্জন করিয়া যান । তিনি যে জাত, যেমন লোকই হোন, এবং যত ইচ্ছা লোক সঙ্গে করিয়া লইয়া যান, আজ রাত্রে মহাশ্মশানে যাওয়া তাহার পক্ষে নিষ্ফল হইবে না। আজিকার ঘোর রাত্রে এই শ্মশানচারী প্রেতাত্মাকে শুধু যে চোখে দেখা যায়, তাহ নয় ; তাহার কণ্ঠস্বর শুনা যায়, এবং ইচ্ছা করিলে তাহার সহিত কথাবাৰ্ত্ত পর্য্যন্ত বলা যায় । আমি ছেলে-বেলার কথা স্মরণ করিয়া হাসিয়া ফেলিলাম । বৃদ্ধ তাহ লক্ষ্য করিয়া কহিলেন, আপনি আমার কাছে আসুন । আমি নিকটে সরিয়া গেলাম । তিনি প্রশ্ন করিলেন, আপনি বিশ্বাস করেন না ? নী । কেন করেন না ? না করার বিশেষ কোন হেতু আছে ? न। । তবে ? এই গ্রামেই এমন দুই-একজন সিদ্ধ সাধক আছেন, যার চোখে দেখেছেন । তবুও যে আপনারা বিশ্বাস করেন না,
পাতা:শ্রীকান্ত-প্রথম পর্ব-কিশোর সংস্করণ.djvu/৮৮
অবয়ব