পাতা:শ্রীকান্ত - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/১৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উীকান্ত R করিয়া দৃষ্টির অন্তরে-বাহিরে অাঁধারের প্লাবন বহিয়া যাইতেছে, মারি । মারি । এমন অপরূপ রূপের প্রস্রবণ আর কবে দেখিয়াছি ! এ ব্ৰহ্মাণ্ডে BD DBDB DDS DBBD DmuS DBDBD DBDBuYiDD SDD S LLLBBB BDDDS অগাধ বারিধি মসী-কৃষ্ণ ; আগম্য গহন অরণ্যানী ভীষণ অাঁধার ; সর্বলোকাশ্ৰয়, আলোর আলো, গতির গতি, জীবনের জীবন, সকল সৌন্দর্যের প্রাণপুৰুষও মানুষের চোখে নিবিড আধার। কিন্তু সে কি রূপের অভাবে ? যাহাকে বুঝি না, জানি না-যাহার অন্তরে প্ৰবেশের পথ দেখি না।--তাহাই তাত অন্ধকার । মৃত্যু তাই মানুষের চোখে এত কালো, তাই তার পরলোকের পথ এমন দুস্তর আধারে মগ্ন। তাই রাধার দু’চক্ষু ভরিয়া যে রূপ প্রেমের বন্যায় জগৎ ভাসাইয়া দিল, তাহাও ঘনশ্যাম । কখনও এ-সকল কথা ভাবি নাই, কোন দিন এ-পথে চলি নাই ; তবুও কেমন করিয়া জানি না, এই ভয়াকীর্ণ মহাশ্মশান-প্ৰান্তে বসিয়া, নিজের এই নিরুপায় নিঃসঙ্গ একাধিকত্বকে অতিক্রম করিয়া আজি হৃদয় ভরিয়া একটা অকারণ রূপের আনন্দ খেলিয়া বেড়াইতে লাগিল, এবং অত্যন্ত অকস্মাৎ মনে হইল, কালোর যে এত রূপ ছিল, সে ত কোন দিন জানি না। তবে হয়ত মৃত্যুও কালো বলিয়া কুৎসিত নয় ; একদিন যখন সে আমাকে দেখা দিতে আসিবে, তখন হয়ত তার এমনি অফুরন্ত, সুন্দর রূপে আমার দু’চক্ষু জুড়াইয়া যাইবে । আর সে দেখার দিন যদি আজই আসিয়া থাকে তবে হে আমার কালো | হে আমার অভ্যগ্ৰ পদধবনি । হে আমার সৰ্ব-দুঃখ-ভয়-ব্যথাহারী অনন্ত সুন্দর । তুমি তোমার অনাদি অাঁধারে সৰ্বাঙ্গ ভরিয়া আমার এই দুটি চোখের দৃষ্টিতে প্ৰত্যক্ষ হও, আমি তোমার এই অন্ধতমসাবৃত নির্জন মৃত্যুমন্দিরের দ্বারে তোমাকে নিৰ্ভয়ে বরণ করিয়া মহানন্দে তোমার অনুসরণ করি । সহসা মনে হইল, তাই ত । তঁহার এই নিৰ্বাক আহবান উপেক্ষা করিয়া অভ্যন্ত হীন অন্তেবাসীর মত এই বাহিরে বসিয়া আছি কি জন্য ? একেবারে ভিতরে মাঝখানে গিয়া चनि न1cकन | নামিয়া গিয়া ঠিক মধ্যস্থলে একেবারে চাপিয়া বসিয়া পড়িলাম ।