পাতা:শ্রীকান্ত - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৫৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্ৰীকান্ত 抄锦 কৰ্ত্তা সায় দিয়ে বললেন, হঁ । যতীন বললে, দিদি নিজে করেছেন আমার নাম ? কৰ্ত্তা আবার ঘাড় নেড়ে বললেন, হঁহা । বাবাকে সে দেবতা বলে জানত, এর পর আর প্রতিবাদ করলে না, স্তব্ধ হয়ে কিছুক্ষণ দাড়িয়ে থেকে আস্তে আস্তে চলে গেল। কি ভাবলে সে জানে । রাত্রে কেউ আর খোজ করলে না, সকালে কে এসে তাব খবর দিলে, সবাই ছুটে গিয়ে দেখলে আমাদের ভাঙা আস্তাবলেব এক কোণে যতীন গলায্য দড়ি দিয়ে বুলচে। বৈষ্ণবী কহিল, শাস্ত্ৰে ভাইপোর আত্মহত্যায় খুড়োর অশোচেল বিধি আছে কিনা জানি নে গোঁসাই, হয়ত নেই, হয়ত ডুব দিয়ে শুদ্ধ হয়-সে। যাই হোক, শুভদিন দিনকয়েক মাত্ৰ পেছিয়ে গেল - তার পরে গঙ্গামানে শুদ্ধ, শুচি হয়ে মন্মথগোঁসাই মাল-তিলক ধারণ করে অধীনার পাপ-বিমোচনের শুভ-সঙ্কল্প নিয়ে নবদ্বীপে এসে অবতীর্ণ छgछन्म । একমুহূৰ্ত্ত মৌন থাকিয়া বৈষ্ণবী পুনরায় কহিল, সেদিন ঠাকুরের প্ৰসাদী মালা ঠাকুরের পাদপদ্মে ফিরিয়ে দিয়ে এলুম। মন্মথর অশৌচ গেল, কিন্তু পাপিষ্ঠ। উষার অশৌচ ইহজীবনে আর ঘুচল না, নতুনগোঁসাই। কহিলাম, তারপরে ? বৈষ্ণবী মুখ ফিরাইয়াছিল, জবাব দিল না। বুঝিলাম, এবার তাহার সামলাইতে সময় লাগিবে। অনেকক্ষণ পৰ্য্যন্ত উভয়েই নীরবে: বসিয়া রহিলাম । ইহার শেষ অংশটুকু শুনিবার আগ্ৰহ প্ৰবল হইয়া উঠিল, কিন্তু প্রশ্ন করা উচিত। কিনা ভাবিতেছিলাম, বৈষ্ণবী আৰ্দ্ধ মৃদুকণ্ঠে নিজেই বলিল, দুষ্ঠাখো গোঁসাই, পাপ জিনিষটা সংসারে এমন ভয়ঙ্কর কেন জানো ?