পাতা:শ্রীকান্ত - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৬৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Rè শ্ৰীকান্ত বঁচে না। আমি যে কিছুই মানি না সে জানে। শুধু তাহার চোখের উপর ভয়ঙ্কর একটা কিছু না ঘটিলেই সে খুশী। আমার পরোক্ষ অনাচারের কাহিনীতে কখনো বা সে নিজের দুইকান চাপা। দিয়া আত্মরক্ষা করে, কখনো বা গালে হাত দিয়া অবাক হইয়া বলে, আমাব অদৃষ্ট কেন তুমি এমন হলে ? তোমাকে নিয়ে আমার যে नd (6वीं । কিন্তু আজিকার ব্যাপারটা ঠিক এরূপ নয়। এই নির্জন মঠে যে কয়টি প্ৰাণী শান্তিতে বাস করে তাহারা দীক্ষিত বৈষ্ণব-ধৰ্ম্মাবলম্বী। ইহাদের জাতিভেদ নাই, পূর্বাশ্রমের কথা ইহারা কেহ মনেও কবে। না। তাই, অতিথি কেহ আসিলে ঠাকুরের প্রসাদ নিঃসঙ্কোচ-শ্রদ্ধায় বিতরণ করে, এবং প্ৰত্যাখ্যান করিয়াও আজো কেহ ইহাদের অপমানিত কবে নাই ; কিন্তু এই অগ্ৰীতিকর। কাৰ্য্যই আজ যদি অনাহুত আসিয়া আমাদের দ্বারাই সংঘটিত হয় তা পরিতাপের অবধি বহিবে না । বিশেষ করিয়া আমার নিজের। জানি, কমললত মুখে কিছুই বলিবে না, তাহাকে বলিতেও দিবে না হয়ত বা শুদ্ধমাত্র একটিবার আমার প্রতি চাহিয়াই মাথা নীচু করিয়া অন্যত্র সরিয়া যাইবে। এই নির্বাক অভিযোগের জবাব যে কি এইখানে দাড়াইয়া মনে মনে আমি ইহাই ভাবিতেছিলাম। এমনি সময়ে পদ্মা আসিয়া বলিল, এসো নতুনগোঁসাই, দিদিরা তোমাকে ডাকছে। হাত-মুখ ধুয়েছে ? ନୀ । তবে এসো আমি জল দিই। প্ৰসাদ দেওয়া হচ্ছে । প্ৰসাদটা কি হলো আজ ? আজ হলো ঠাকুরের অন্নভোগ । মনে মনে বলিলাম, তবে তা সংবাদ আরও ভালো । জিজ্ঞাসা করিলাম, প্ৰসাদ কোথায় দিলে ? পদ্মা বলিল, ঠাকুরঘরের বারান্দায়। বাবাজীমশায়দের সঙ্গে