পাতা:শ্রীকৃষ্ণসংহিতা.pdf/৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২২ শ্ৰীকৃষ্ণসংহিতা । নিবাসীগণের মধ্যে ভূতনাথ রুদ্রই প্রধান ছিলেন । পাৰ্ব্বতীয় দেশের অধিকাংশই তাহার অধিকৃত ভূমি । ভুটান অর্থাৎ ভূতস্থান, কোচবিহার অর্থাৎ কুচনীবিহার, ত্রিবর্ত যেখানে কৈলাসশিখর পরিদৃশু হয়; এই সকল দেশ রুদ্রের রাজ্য ছিল । আদিম নিবাসী হইয়াও তিনি চিকিৎসাশাস্ত্রে, যুদ্ধবিদ্যা ও গানবিদ্যায় বিশেষ নিপুণ ছিলেন । এমত কি তাহার সামর্থ্য দৃষ্টি করত র্তাহার স্থলাভিষিক্ত একাদশ রুদ্র রাজগণ র্তাহাকে ঈশ্বর বলিয়া ব্যাখ্যা করিয়াছিলেন। এবস্তুত মহাপুরুষ রুদ্ররাজ ব্রাহ্মণদিগের অহঙ্কার সহ করিতে না পারিয়া বল ও কৌশলে হরিদ্বার নিকটস্থ কনখলনিবাসী দক্ষ প্রজাপতির কন্যাকে বিবাহ করেন । সতীদেবী প্রাণত্যাগ করিলে তাহার সহিত ব্রাহ্মণদিগের যে যুদ্ধ হয়, তদবসানে তাহাকে যজ্ঞভাগ ও ঈশানকোণে আসন দান করিয়া আৰ্য্যমহাশয়েরা পাৰ্ব্বতীয় তীব্র জাতিদিগের সহিত সন্ধি স্থাপনা করিলেন । তদবধি পাৰ্ব্বতীয় পুরুষদিগের সহিত ব্রহ্মঘিদিগের আর বিবাদ দেখা যায় না, যেহেতু ব্রাহ্মণের তদবধি তাহদের নিকট সম্মানিত হইলেন এবং রুদ্রেরাজও আর্য্য দেবতার মধ্যে গণ্য হইলেন । যদিও আর্য্যগণের আর পাৰ্ব্বতীয় লোকদিগের সহিত কোন বিবাদ রহিল না তথাপি তাহদের নিজ বংশে অনেক দুরন্ত লোক উৎপন্ন হইয়। রাজ্য কৌশলের ব্যাঘাত করিতে লাগিল । নাগ ও পক্ষী চিত্নধারী কশ্যপবংশীয়েরা দেবতাদের অধীনতা স্বীকার করতঃ স্থানে স্থানে বাস করিয়া