ل لانك ] গঙ্গার প্রবাহ,—ত্রীগোৱাঙ্গদেবের সনমন্ত্র হইতে বর্তমান সময় পৰ্য্যন্ত ( ৪৫২ বৎসর সম্বীয় ),— শ্ৰীগৌরাঙ্গ দেবের সময়ে (১৪৮৬-১৫৩৩ খৃঃ) গঙ্গা নদীয় নগরের ক্তর, পশ্চিম ও দক্ষিণ দিয়া প্রবাহিত ছিলেন, ইহা পূৰ্ব্বে প্রমাণিত হইয়াছে । ঐ সময় একটী গঙ্গা শাখা—“অলকানন্দা” নামে, নদীর নগরের পূর্ব দিয়া দক্ষিণ বাহিনী অবস্থায় প্রবাহিত থাকিয়া “সাত কুলিয়ার” ঈশানকোণে পুনরুণর গঙ্গায় মিলিত ছিল । জলাঙ্গীনদী ( বা "খড়ে" ) মাজিদার দক্ষিণে অলকানন্দার সহিত মিলিত ছিল। উভয় নদীর সঙ্গম এখন "হংসবাহনবিল” নামে পরিচিত। পরে, খড়েনদীর প্রবাহ পরিবর্তিত হইয়া স্বরূপগঞ্জের উত্তরে, বর্তমান প্রবাহিত গঙ্গার সহিত মিলিত রহিয়াছে। খড়েনদীর গতির পরিবর্তন জন্ত অলকানন্দ ভরাট হইয়া অলকানন্দার থলি নামে এখনও বর্তমান আছে । শ্ৰীগৌরাঙ্গের সময়ে প্রবাহিতা গঙ্গা ও প্রবাহিত। অলকানন্দীর মধ্যবৰ্ত্তী স্থান অষ্টক্রোশী “নদীয়া” বলিয় প্রসিদ্ধ ছিল । যথা : — “নদীয়া বসতি অষ্ট ক্রোশ কেহ কয় । অচিন্ত্য ধামের শক্তি সব সত্য হয় ॥”—“ভক্তিরত্নাকর", ১২ তঃ শ্ৰীগৌরাঙ্গের ২৪–২৯ বৎসর বয়সের সময় উপরি উক্ত অষ্টক্রোশী “নদীয়ার” চতুদিকে চারিট পারঘাটের সংবাদ শ্রীচৈতন্যভাগবতে বর্ণিত আছে। যথা : - ১। শ্ৰীগৌরাঙ্গ, নদীয়ার উত্তরদিকে যে ঘাটের উপর দিয়া গঙ্গা উত্তীর্ণ হইয়া কাটোয়ায় সন্ন্যাস করিতে গিয়াছিলেন, ঐ ঘাটের নাম “নিদয়া" ঘাট বলিয়া পরিচিত হয়। যথা,— "গঙ্গায় হইয় পার শ্রীগৌর সুন্দর । সেই দিনে আইলেন,কণ্টক নগর ॥" (চৈঃ ভাঃ মধ্য, ২৩ অঃ )
