বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:শ্রীগৌরাঙ্গদেবের জন্মস্থান.pdf/৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ك ] ! থাকি—তবে জগতের লোক কি বাঙ্গালীর নিকট হইতে-তৰ্জঞ্জর্যf কৈফিয়ৎ দাবী করিবে না ? আমরা কি এমনই অপদার্থ, এমনই অন্তঃসারহীন, এমনই হতভাগ্য হইয়াছি যে আমরা এখনও সেই জগন্মঙ্গল শ্ৰীগৌরাঙ্গদেবের জন্মভূমি নির্ণয়ে উদাসীন –ৰ্তাহার লীলাস্তল উদ্ধারে, তাহার পবিত্র লীলাকথা স্মরণের সহায়ক স্থানটি র্তাহার ভক্তগণের লোকলোচন-গোচরীভূত করিবার জন্য এখনও যথাসাধ্য চেন্টায় পরামুখ । শ্ৰীমন্মহাপ্রভু র্যাঙ্গাদের হৃদরের ধন, মাতার তাহার পবিত্র রাতুল চরণ অবলম্বন পূৰ্ব্বক পার্থিব সকল ভোগ ত্যাগ করিয়া কোনওরূপে ক্রবৃন্দাবনধামে জীবন যাপন করিতেন, সেই শ্রবৃন্দাবনের ভক্তগণের হৃদয়ে শচৈতন্যদেবের আবির্ভাব-ভূমির অভাবের ব্যথা সৰ্ব্বপ্রথমে জাগিয়াছিল । তাহারাই ভিখারী বৈষ্ণব শ্ৰব্ৰজমোহন দাস বাবাজীকে শ্রীবৃন্দাবন হইতে শ্ৰীমন্মহাপ্রভুর জন্মভূমি নির্ণয়ের জন্য বিংশ বৎসর পূৰ্ব্বে ১৩২৩ সালে শ্ৰীশ্ৰীনবদ্বীপধামে প্রেরণ করিয়াছিলেন। বিত্তহীন বৈষ্ণুবের এই প্রয়াস অস্কুরেই নষ্ট হইতে বসিয়াছিল কিন্তু স্থখের বিষয় বঙ্গদেশে সত্যসন্ধ গৌরগতপ্রাণ ভক্তের ঐকাস্তিক অভাব ঘটে নাই। এইজন্য শ্রীচৈতন্য-তত্ত্ব প্রচারিণী-সভার সম্পাদক ডাক্তার প্রিয়নাথ নন্দী, গৌড়ীয় বৈষ্ণবগণের তাশ্রয়স্থল গৌড়রাজর্ষি মহারাজা স্তরে মণীন্দ্রচন্দ্র নন্দী বাহাদুর এই আন্দোলনের পৃষ্ঠপোষকতা করায় এই আন্দোলন আজ সাফল্যের পথে পরিচালিত হওয়া সম্ভবপর হইয়াছে ।