পাতা:শ্রীগৌর-উপদেশামৃত (প্রথম খণ্ড) -মধুসূদন দাস অধিকারী.pdf/৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

** भ2ोंशूट भी । “শ্ৰীধর ! তুমি যে গঙ্গাকে প্রত্যহ পূজা কর, আমা হইতেই তোমার সে গঙ্গার মাহাত্ম্য, আমার চরণ হইতেই গঙ্গার উদ্ভব হইয়াছে।” শ্ৰীধর “শ্ৰীবিষ্ণু” স্মরণ করিয়া কর্ণে অঙ্গুলি প্ৰদান করিলেন। বলিলেন, “পণ্ডিত ! বয়ো বৃদ্ধির সঙ্গে লোকে শান্ত হয়, কিন্তু তোমার চাপল্য ক্ৰমে দ্বিগুণই বাড়িতেছে। তোমার কি গঙ্গাকেও ভয় নাই ?” শ্ৰীশচীনন্দন শ্ৰীধরের সহিত এইরূপ লীলারঙ্গ করিয়া সেদিনকার মত বিদায় হইলেন । যদ্যপি এতেক প্ৰভু আপনা প্ৰকাশে । তথাপিহা চিনিতে না পারে কোন দাসে ৷ প্ৰভু একদিন রাজপথে ভ্ৰমণ করিতে বহির্গত হইয়াছেন। অসংখ্য ছাত্র র্তাহাকে মণ্ডলাকারে বেষ্টন করিয়া চলিয়াছেন। আহা! সে দৃশ্য কি মনোহর ! ! যেন কোটি অকলঙ্ক পূৰ্ণশশী অগণিত নক্ষত্রমালা পরিবেষ্টিত হইয়া ভূতলে আবিভূতি হইয়াছেন। মারি । মারি !!-- চলিছে পথে গো গোরা সুন্দর। নটরায় । হেরি সে মুরতি মদন মুরছি কোটী চরণে লুটায়। চাদের লাব্বণি অমিয়া সঙ্গ, গঠিত ললিত কনক অঙ্গ, ভাবে ঢল ঢল সে রূপতরঙ্গ, অপাঙ্গে ভুবন ভুলায়। ললাটে তীলক, অধরে তাম্বল, শ্ৰীকরে পুস্তক পরণে দুকুল, গলে ফুলমাল শোভায় অতুল, দরশে ত্ৰিতাপ জুড়ায় { স্বভাবে চঞ্চল পড়ুয়া সঙ্গে, বাহু দোলায়ে যান প্ৰভু রঙ্গে, তুষিত নয়নে যত নগরিয়া পলক হারায়ে চায় ৷ শ্ৰীশচীনন্দন এইরূপ ভুবনসুন্দরবেশে নদীয়ার রাজপথে গমন করিতেছেন । সঙ্গস খ্ৰীবাস পণ্ডিতের সহিত র্তাহার সাক্ষাৎ হইল। প্রভুর সেই চঞ্চলভাব দেখিয়া শ্ৰীবাস হাস্য প্ৰফুল্লমুখে কহিলেন,-“ওহে উদ্ধতের চূড়ামণি ! কোথায় যাইতেছ ? শুন, কৃষ্ণভক্তি লাভের জন্যই লোকে বিদ্যাশিক্ষা করে । তুমি বিদ্বান ও বুদ্ধিমান হইয়া কৃষ্ণ না ভজিয়া বৃথা কালব্যাপন করিতেছি। কোন ?"