“ е е স্ত্রীচৈতন্যচন্দ্রে গদয় নাটক l বন্দাকে না করিহ প্রমাণ ॥ গোপিকার পক্ষ বৃন্দ। জানিহ নিশ্চিত । আত্ম পক্ষ বলি না বুলিবে কদচিত। বটু বাক্যে কৃষ্ণ কিছু তটস্থ হইল। সুল ললিতা প্রতি কহিতে লাগিল। আমার সথার সত্য বটে এই বন । কৃষ্ণ নাম মুদ্রা ইথি প্রমাণ বচন ৷ বনে প্রতি বৃক্ষ দেখ পুলিঙ্গ। উদেশ । রাধার বলি কেনে কর মিথ্য আবেশ ॥ললিতা বলেন যদি এমন বলিবে। তথাপি সুবল তুমি বিচারে হারিবে। মোর সখী শ্রীরাধিক। তার নামাঙ্কিত। বৃন্দাবনে লতাসব দেখহ নিশ্চিত । পুলিঙ্গ নির্দিষ্ট বনে নাহি কোন লতা । বৃক্ষের কুসুম মোর না লব সৰ্বথা । লুবঙ্গ লতার পুষ্প লিছি আপনার ; তোমার সথার ইথে কিবা অধিকার ৷ সুবল তটস্থ হৈলান স্কুরে বচন। বুড়ী বলে ললিতার যাড নিৰ্ম্মঞ্জুন ॥ উত্তম বলিয়। তারে বলি লৈলা কোলে । কৃষ্ণ প্রতি বুড়ী পুনঃ কোপবেশে বলে । ওরে কৃষ্ণ কলহ করিছ কি কারণ। নিজ অধিকারে পুষ্প তোলে গোপীগণ৷ যদি তোর এই পুষ্পে আছে অনুরাগ। বিনয় পূর্বক রাধিকার ঠাঞি মাগ ॥ আমি তবে দিব তোরে লবঙ্গের ফুল । কার প্রিয় নহ তুমি সভে অনুকূল ৷ কৃষ্ণ পানে চাই রাধ অতি স্পৃহা হৈল । কি আশ্চৰ্য্য বলি মনঃ কথা আরম্ভিল । অঙ্গের ছটায় শ্যাম করিছে ভুবন । দশ দিগ চন্দ্রময় করছে বদন ॥ সুধাসার কর্ণ পূর্ণ করিছে বচনে। আকাশ অম্বুজ ময় করছেনয়নে ॥ অন্ধ নেত্রে রাধাকৃষ্ণ ৰূপ করে পান । দেখিতে
