ঐচৈতন্যচন্দ্রোদয় নাটক। \}} বসিয়া গৌরাঙ্গ মহেশ্বর। ক্ষণ প্রায় বসিয়াছে আঠার প্রহর । সে আমদনময় দেবে মোর। ক্ষুদ্র জন । কিবা উপহার দিয়া করিব পূজন। অতএব আমর। করিয়া সমবায় । স্তব করি যেন প্রভূর বাহ হয় । যদ্যপিহ স্বতন্ত্র পরমানন্দ হন । তথাপি বাৎসল্যে রাথে ভক্তের বচন ৷ কলি কহে সথা তুমি শুনিলে শুনিলে । কেবল ঐশ্বৰ্য ভক্ত সহিতে নাপারে । অধৰ্ম্ম কহেন সথা সকল শুনিল অন্তর্বর্তী মোহ মদ তাহে সে জানিলু। সহজ আনন্দ যদি হয় বিশ্বস্তরে। তবে সে আনন্দ ত্যাগ করিতে না পারে। অতএব মদে করে কপট করিয়া । বিশ্বে তৃণ জ্ঞান করি আছেন বসিয়া ৷ নিজ জনে যদি তার মোহ নাহি থাকে। তবে কেনে যত্ব করি ভক্তগণ রাখে । কলি কহে ভকত বৎসল এই গুণে । ভক্তের রচন প্রভু সৰ্বকাল শুনে ॥ অধৰ্ম্ম বলেন যদি ক্ষুদ্র জন হয়। তবে তারে লোক সভে মোহ বলি কয় ৷ মহজন হৈলে বাৎসল্য বলে তারে । তোম। সকলের বাক্য বুঝিতে দুস্করে ৷ কলি কহে বড় অজ্ঞ জানিল তোমারে । জীবের বিচার তুমি ঘটাই ঈশ্বরে ৷ ক্ষুদ্রাক্ষুদ্র বিচার সে জীব গত হয় । ঈশ্বর সে এক ৰূপ পরানন্দময় ৷ পুনৰ্বার দেখে কলি শ্ৰীবাস মন্দিরে। এক কালে অদ্বৈতাদি প্ৰণিপাত করে। ঢারি ভাই খ্ৰীনিবাস তার বধূগণ । দণ্ডবং প্রণাম করছে সব জন ৷ অতএব জানিল গৌরাঙ্গ ভগবান। নিজানন্দ তন্ত্র। ছাড়ি মিলিলা নয়ান। দেখ দেখ
