পাতা:শ্রীজৈবধর্ম্ম.djvu/২৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૨૪ ૦ জৈবধৰ্ম্ম [ দ্বাদশ কবিযাছি, এখন শ্ৰীগৌরহরির চরণানুগত হইতে ইচ্ছা করি। সন্ধার পব শ্ৰীবঘুনাথদাস বাবাজী মহাশয়কে দর্শন কৰাই শ্ৰেয়ঃ। দিবাবসান-সময়ে অংশুমালী আদর্শনপ্রায় । মন্দ মন্দ দক্ষিণ মঞ্চত বচিতে লাগিল। দিগৃদিগন্তর হইতে পক্ষিগণ আপন আপন নির্দিষ্ট স্থানে আশ্রয় গ্রহণ কবিতে লাগিল। ক্রমশঃ দু’ একটী নক্ষত্র গগনমণ্ডলে উদিত হইতেছিল। এমন সময়ে শ্ৰীমাঘাপুরে শ্ৰীবাস-অঙ্গনে বৈষ্ণবগণ আরতি-কীৰ্ত্তন আরম্ভ করিলেন। ব্ৰজনাথ ঐ সমযে ধীরে ধীবে শ্ৰীবাসঅঙ্গনের খোলভাঙ্গাডাঙ্গায বকুলবৃক্ষের চবুতবাব উপর উপবিষ্ট হইলেন । গৌরহরিব আরতি কীৰ্ত্তন শুনিয়া তাহাব চিত্ত সুকোমল কষ্টল। বৈষ্ণবগণ কীৰ্ত্তনাস্তে চবুতরার উপর শাসিয়া ক্রমে ক্রমে উপবিষ্ট হটলেন । বৃদ্ধ রঘুনাথদাস বাবাজী মহাশয, ‘জয শচীনন্দন’, ‘জয নিত্যানন্দ’, ‘জয রূপসনাতন’, ‘জয় দাসগোস্বামী’ বলিতে বলিতে চৰুতবায আসিয়া বসিলেন। বুদ্ধ বৈষ্ণবকে সকলেই দণ্ডবৎ প্রণাম করিলেন । ব্ৰজনাথ সেই সময তাতাকে প্রণাম না কবিযা থাকিতে পারিলেন না । ব্ৰজনাথের মুথত্র) দেখিয় তাহাকে বৃদ্ধ বাবাজীমহাশয় আলিঙ্গন করিযা নিকটে বসাইলেন। পলিলেন,—বাবা, তুমি কে ? ব্রজনাথ উত্তর করিলেন,—আমি একজন তত্ত্বপিপাসু, আপনাব নিকট কিছু শিক্ষা কবিবার মানস করি। নিকটস্থ একটি বৈষ্ণব ব্রজনাথের পরিচয় জানিতেন । তিনি কছিলেন,—ক্টনি ব্ৰজনাথ দ্যায়পঞ্চানন ; ছায়শাস্ত্রে ইহার তুল্য পণ্ডিত শ্ৰীনবন্ধাপে আব কেহ নাষ্ট। আজকাল শচীনন্দনে ইহার কিছু শ্রদ্ধা হইয়াছে। ব্ৰজনাথের মাহাত্ম্য শুনিয়া বৃদ্ধ বাবাণী অনুনয়পুৰ্ব্বক কহিলেন,—বাবা, তুমি পণ্ডিত, আমরা মূৰ্খ, অকিঞ্চন ; তুমি আমার শচীনন্দনের ধামবাসী। আমরা তোমাদের কৃপাপাত্র । আমরা তোমাকে কি শিক্ষা দিব ? তোমরা রূপ। কবিয়া তোমাদের গৌরাঙ্গের কথা বলিয়া আমাদিগকে শীতল কর।