পাতা:শ্রীজৈবধর্ম্ম.djvu/২৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૨88 জৈবধৰ্ম্ম [ চতুর্দশ পরমতৰে যে ইচ্ছা ও বিলাসরূপ বিকার আছে, তাহা চিন্ধৈচিত্র্য অর্থাৎ চিন্ময় প্রেমবিকাশবিশেষ—তাহতে অশুদ্ধি-দোষ নাই । তাতা অদ্বযজ্ঞানের অন্তর্গত। স্বেচ্ছাক্রমে মায়িকশক্তিদ্বারা জড়জগৎকে উদয় করিযা ও র্তাচার চিৎস্বরূপতা অখণ্ডকপে আছে। চিদ্বৈচিত্র্যে মায়া সম্বন্ধ নাই । যাহাদের বুদ্ধি মায়িক, তাহারা চিদ-বৈচিত্র্য-বর্ণনকে মায়িককপে দেখে, যথা—কামলা-রোগী সকলবৰ্ণকেই নিজদোষদৃষিত হরিদ্রাবর্ণবিশিষ্ট দেখে এবং মেঘাচ্ছন্ন চক্ষু স্বৰ্য্যকে মেঘাচ্ছন্ন দেখে। ইগর মূল তাৎপৰ্য্য এই যে, মায়াশক্তি চিচ্ছক্তির ছায়া, অতএব চিৎকার্য্যে যে যে বৈচিত্র্য আছে, তাহার হেয় প্রতিফলনই মায়া-বৈচিত্র্য ; বহিদৃশ্যে সাম্য আছে, কিন্তু বস্তু ব্যাপারে বিপৰ্য্যয় । আদর্শ নরশবীরের আকৃতি সমতল কাচ-দর্পণে মেরূপ মোটের উপর সমান দৃশ্য প্রতিভাত হয়, অঙ্গসকল বিপৰ্য্যয়ক্রমে লক্ষিত হয়, অর্থাৎ দক্ষিণহস্তকে বামহস্ত ও বামহস্তকে দক্ষিণহস্ত ইত্যাদি দেখা যায়, তদ্রুপ চিজগতের বৈচিত্র্য ও মায়িক-জগতের বৈচিত্র্য। স্থলদর্পণে সমবোধ হইলে ও স্বক্ষদর্শনে বিপৰ্য্যস্ত। মায়াবৈচিত্র্য চিদ্বৈচিত্র্যেরই বিকৃত প্রতিফলন । অতএব তছভয়ের বর্ণনে সাম্য, কিন্তু বস্তুতে পার্থক্য আছে। মায়িক-বিকার-শূন্ত সেই স্বেচ্ছাময় পুরুষ মায়ার অধ্যক্ষস্বরূপ তাহাকে নিজ কার্য্য করাইতেছেন । ব্র। শ্রীমতী রাধিক কৃষ্ণের কোন শক্তি ? বা। কৃষ্ণ পূর্ণশক্তিমান তত্ত্ব, শ্ৰীমতী রাধিক তাহার পূর্ণশক্তি ; শ্ৰীমতীকে পূর্ণ স্বরূপশক্তি ও বলা যায়। মৃগমদ ও তাহার গন্ধ যেরূপ পরম্পর অবিচ্ছিন্ন ; অগ্নি ও তাহার দাহিকা-শক্তি যেরূপ অপৃথক, তদ্রুপ রাধাকৃষ্ণ-লীলারস আস্বাদনস্থলে নিত্য পৃথক হইয়া ও সৰ্ব্বদা অপৃথক । সেই স্বরূপশক্তি হইতে ‘চিচ্ছক্তি’, ‘জীবশক্তি’ ও ‘মায়াশক্তি’—তিনপ্রকার ক্রিয়াশক্তি দেখা যায়। চিচ্ছক্তির অন্ততর নাম ‘অস্তরঙ্গাশক্তি’ ।