পাতা:শ্রীবৃহদ্ভাগবতামৃত.djvu/১৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তাহা শোক-হৰ্ষ-বেগে না পারি স্মরিতে। কি প্রকাহর শক্ত হব সে-সব কহিতে ? ॥ কোথ। অতি দুষ্টচেষ্টা খল যে কালিয়। তার দও ক্রোধভরে তবে করণীয়। কোথায় নমিতফণাবর্গ-রঙ্গস্থলে । হর্ষভরে বৃত্যোৎসব তাদৃশ কৌশলে । কোথায় শ্রীপাদদ্বয় করিয়া প্রহার। সকল মস্তকভঙ্গ-নিগ্রহবিস্তার ॥ কোথা অনুগ্রহ তার মস্তক-উপরি। পদরজো দিলেন তাদৃশ নৃত্য করি। যেই অgগ্রহ শেষ সহস্ৰবদনে । বর্ণন করিতে ন পারেন কদাচনে ॥ সেই কালিয়েরে আর নাগপত্নীগণে । নমস্করি যে করিল সস্তুতি-পূজনে ॥ কালিয়ন্ত্রদের তীরে আসি দাবানলে । অতি তাপ দেয় গোপগোপিকাসকলে ॥ তাহাদিগে করাইয়। নয়ন মুদ্রিত। খাইলেন দাবানল দয়ায় ত্বরিত ॥ পুন মুঞ্জবনেতে যতেক পশুগণে । দাবানল পান করি করিলা মোচনে ॥ ভাওঁীরতলায় যেই করিলা ক্রীডন। হারিয়। আপনি কৈলা শ্ৰীদামে বচন ॥ বলরামহস্তে হৈল প্ৰলম্ব-সংস্থার ; করুক সে সব লীলা মঙ্গলবিস্তার ॥ বর্যাকালে বৃক্ষক্রোড় করিয়া আশ্রয়। করিলেন যেই মনোহর লীলাচয় ॥ তৎকালীন কন্দমূলফলাদি ভক্ষণ । আর দধিমিশ্রিতায় সহ সখীগণ ॥ শরৎকালে বনশোভা বাঢ়ে অতিশয় । গোপীর কন্দপতাপ করয়ে উদয় ॥ পরম অদ্ভুত এই লীলাসমুদয় । নিরস্তুর বিরাজিত হউক নিশ্চয় ॥ সেই বন্তভূষ—সেই মোহন বাঁশরী ! তার মধু-রব-রাশি সৰ্ব্বচিত্তহারী ॥ সেই গোপললনার মোহন—এ-লব । করিব র্তাহার কবে সাক্ষাদমুভব ? " অহো কোথা গোপকস্তাগণের বসন চৌধ্যরূপে।ৎসব কৈলা শ্রীননানন্দন ॥ কদম্ববৃক্ষমস্তকে করি আরোহণ। অনেক কৌশল করিলেন ততক্ষণ । আঞ্চলিবন্ধনে করাইয়া নমদার । নিজ স্কন্ধ হৈতে বস্ত্র দিলেন সবার ॥ ষ্ট্ৰীবৃহস্তাগবতামৃত $83 সেই যজ্ঞকারি বিপ্ৰগণের ওদন । করাইলা সখীগণদ্বারায় যাচন । তারা নাহি দিলে তাহদের পত্নীগণে । অন্নব্যঞ্জনাদিসহ কৈলা আকর্ষণে । সেকালের ভূষণে করিল অবস্থিতি। বাক্যের প্রসাদ যে করিলা শুভ রীতি ॥ তথাহি (ভা: ১ •।২৩২২ )– গ্যামং হিরণ্যপরিধি বনমাল্যবহ – ধাতুপ্রবালনটবেষমমুত্রতাসে । বিন্যস্তহস্তমিতবেণ ধুনানমন্ত । কৰ্ণোংপলালককপোলমুখ চহা সম । ইতি । সখীগণসহ অন্ন যে কৈলা ভোজন। সেইসব লীলা স্তব করি অনুক্ষণ ॥ নন্দাদির দ্বারা গোবৰ্দ্ধনের পূজন । নিজ বামহস্তে মহাপৰ্ব্বতধারণ ॥ সন্তোষ দিলেন তাহে যত গোপগণে । ইন্দ্র এত দেখি লজ্জা পাই বহু মনে ॥ সুরভিয়ে আনি ইন্দ্র ভক্তির উদ্রেকে । গোবিন্দৰে করিলেন কৃষ্ণে অভিষেকে ॥ ব্ৰহ্মত্বদ-নিকটেতে ব্ৰজবাসিগণে । করাইলা বৈকুণ্ঠাখ্যস্থানের দর্শনে । স্বাদশীর অল্পতা দেখিবা নন্দরায় । একাদশীরাত্রে কৈলা স্নান যমুনায় ॥ তথা হৈতে বরুণের দূতেতে হরিলা । কৃষ্ণ তার লোক হৈতে নন্দেরে আনিলা ॥ যোগ্যো নাহি হই এইসকল কথনে। কেমনে সে বিদগ্ধত যে বেণুরাদনে ॥ তাহাতে মোহিয়া গোপীসকলে আনিয়া । করিলা যে রাসলীলা সানন্দ হইয়া ॥ সকল লীলার সেই শেষসীমা হয় । ভগবত্তামাধুরী কে কহিতে পারয় ? ॥ সৰ্ব্বাবতারের লীলা হইতে নিশ্চয় । বিচারে এ ব্রজলীলা শ্রেষ্ঠ অতিশয় ॥ যে লীলাসম্বন্ধী বর্ণ শ্রবণে প্রবেশে । স্বতাবেতে প্রেমভর-উদয় অশেষে ॥ অপেক্ষা না সহে তাহে অর্থের বিচার। অগ্নি যেন স্পর্শমাত্রে গুণ করে তার ॥ সৰ্ব্বাবতারেতে কৈলা যেই লীলা-সব। তাহাহৈতে কৃষ্ণলীলা উত্তম প্রতব। ইহা যুক্তিত্বারা যেই করয়ে স্থাপন। সেই ধন্ত তাগ্যবান হয় শ্লাঘ্যজন।