পাতা:শ্রীবৃহদ্ভাগবতামৃত.djvu/১৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যত পরম শ্ৰীভগবতী গোপিকার। প্রেমভর দেখিলেন সাক্ষাতে প্রচার। তাহাদের অতিশয় কুপার ভাজন । গোপনীয়-নিজ-ভাব-প্রকাশ-কারণ ॥ আবাল্য যে সেবিলেন ইষ্ট কৃষ্ণে রঙ্গে। র্তার সঙ্গ ভুলিলেন গোপিকার সঙ্গে ॥ সেই ত উদ্ধব যেই গোপিকা বিষয় । পরম উৎকর্ষ সদা করেন নিশ্চয় ॥ করিয়া ঈদৃশ বন্দনাদি-বাবছর। যে কহেন, সে অত্যন্ত সম্ভব তাহার ॥ যেই ত আক্রব হন শ্বফন্ধনন্দনে। ক্রুরকর্ধহেতু অপরাধী ব্ৰজজনে । ভক্তিরলে স্পর্শ নহে যে নীরসজ্ঞান । তাহাতে পরমশুষ্কচিত্ত সবিধাল ॥ বাৰ্দ্ধক্যেতে বাহারসিকতায় বিহীন । দয়ার্দ্র হৃদয় হৈতে চীন শুতুদিন ॥ ংসদূত হৈয়! ব্রজে করিয়া গমন । কৃষ্ণপাদম্বুিজস্বয় করিয়া ভাবন ॥ তাহাতে চঞ্চল হৈয়া ধাষ্ট্য আপনার । হৃদয়েতে ভাবনা না করি বারবার ॥ সহিত গোপীর মহোৎকৰ্য-বৰ্ণনের । বৰ্ণিলেন প্রকর্ষত কৃষ্ণুচরণের— ॥ “ব্ৰহ্মা-শিব-আদি দেব, লক্ষ্মীদেবী অার। মুনি সাহতের গণ পূজে পদ যার ॥ অনুচরসহ বলে সে গাব চরায় । গোপীকুচকুঙ্কুমেতে ব্যাপ্ত আছে যায় ॥ পতিত হইবে পাদপদ্মমুলে যবে । শিরে হস্তপদ্ম ধরিবেল প্ৰভু তবে । যে হস্তে অভয় দেন শরণাগতেরে । কালভুজঙ্গের বেগে উদ্বিগ্নজনেরে ॥ পূজাদ্রব্যাদিক সমপিয়া যেই করে। ঈঞ্জস্ব পাইল ইন্দ্ৰ জগত-ভিতরে ॥ কিম্বা 'কৌশিক'-শব্দেতে বিশ্বামিত্র হয়। তি’হ করিলেন রামচন্দ্রে পূজাচয় । তাহাতে র্তাহার পাদপদ্ম-ভজনের | পাইলা আনন্দ অতি মাহাত্ম্যগণের ॥ সেইরূপে বলি তার করিল পূজন । যাহে স্বারে দ্বারী হইলেন এবামন ॥ কিম্বা বলি ত্ৰিজগতে পাইবে ইন্দ্র । প্রসিদ্ধ এসব কথা পূজার মহত্ত্ব ॥ সৌগন্ধিকগন্ধষ্ঠায় গন্ধ চরণের। স্পর্শে দূর করে শ্রম ব্ৰজস্ত্ৰীগণের ॥” শ্ৰীবৃহদ্ভাগবতামৃত እ›8ግ ইত্যাদি অক্রুর বহু করিলা প্রার্থন। দশমস্কন্ধেতে তার দেখ বিবরণ ॥ ভীষ্ম—কুরু-পাণ্ডব-গণের পিতামহ । থনৈষ্টিক ব্রহ্মচর্যনিষ্ঠ অহরহ ॥ ক্ষত্রিয়ের জাতি-হেতু যুদ্ধ না ত্যজিলা । গুরু-শ্ৰীপরশুরাম-সহিত যুঝিলা । অৰ্জুনসারথি-ভগবানের অঙ্গেতে। মারিলা নিষ্ঠুর বাণগব যে রঙ্গেতে ॥ র্তিহ ব্ৰজাঙ্গনার উৎকৰ্ষনিরূপণে । অস্তকালে ভগবানে করিলা স্তবনে— *ললিত-গতি-বিলাস, চারু হাসে আর । প্রণয়-ঈক্ষণে শ্রেষ্ঠ সব গোপিকার ॥ কৃষ্ণের বিরহে অত্যন্ত প্রেম-আবির্ভাবে । উন্মাদেতে অন্ধষ্ঠায় নিরস্তব- ভাবে। ইহ-পরলোকের সে সাধ্যাদি সাধন। সকলবিষয়ে দৃষ্টিশূন্ত গোপীগণ ॥ গোবৰ্দ্ধনধারণাদি লীলা কৃষ্ণকৃত। করিলেন গোপীসব তার অমুকুত ॥ কৃষ্ণের স্বভাব যেই জগতপূজ্যত্ব । আকারে সচিদানন্দ জগন্নিস্তারত্ব t বাৎসল্যাদি সব গোপবধুর শরীরে । আগমন করিলেক নিশ্চয় স্বস্থিরে ॥” পুন যাবে যুধিষ্ঠিরনগর ইতে। কৃষ্ণচন্দ্র দ্বারকায় উদ্যত যাইতে ॥ সেইকালে র্তাহারে ত কfরয় দর্শন। পরস্পর কহিলেক পুরনারীগণ— “এই ত ঈশ্বরে কৃষ্ণমহিষীর গণ । ব্রভমানাদির দ্বারা বহুত আচচন ॥ নিশ্চয় করিল, যাহে শুন সখি ! সার । কৃষ্ণের অধরামুত পায়ে বারবার ॥ যাহার আশয়ে যত ব্ৰজাঙ্গনাগণ । অত্যস্ত পাইলা মোহ চিত্তে অমুক্ষণ ॥” ইথে দেখ রুক্মিণ্যাদি হৈতে গোপিকার মহিমা বিশেষ হৈল স্বচিত প্রচার । যেহেতু তাহারা পান করিবারে পারে। স্মরণমাত্র ত গোপী মোহে প্রেমঘারে। যদ্যপি ঐনন্দ-যশোদাদির সমান । ভাবিতে গোলোকধাম সাধকেতে পান । তথাপিছ প্রায় গোপীসদৃশভাবনে। গোলোকে সৰ্ব্বথা মনোরথের পূরণে ॥ ফলাবিশেষের তথা সম্পাদন হয়। কহিলু নিগুঢ় সব তোমায় নিশ্চয় ।