পাতা:শ্রীবৃহদ্ভাগবতামৃত.djvu/১৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্ৰীবৃহভাগরতামৃত :רעיכ গোপ-গোপীগণসহ শ্রীনন্দনন্দন । ভগবান কৈলা নিজগৃহেতে গমন ॥ কদাচিত সে দুষ্ট কংসের অমুচর। কেশী আর অরিষ্ট দুহেতে নামধর । কেশী মহা অশ্বের আকার সেই হয় । ৰূর্ষের আকৃতি ধরে অরিষ্ট দুৰ্জ্জয় । বহিশচর-প্রাণরূপ কংসের মুপ্রিয় । বৃহত শরীর তাহে গগনস্পশায় ॥ ঘোরশব্দে প্রাণিমাত্রে ভূতলে ফেলায়। গোপসকলের ভয় বিবিধ দেখায় ॥ গোসকলে পদদ্বারা করে আক্রমন । একবারে ব্রজেতে করিল আগমন ॥ দুই অসুরের ভয়ে গোপগোপীগণ । আকৰ্ষিয় কৃষ্ণে করিছেন নিবারণ ॥ র্তাদিগে আশ্বালি বীরদপ দেখাইয়া । অগ্রে হৈলা নিজহস্তে ভূজ আস্ফোটিয়া । প্রথমত কেশী দৈত্য আল্য বেগভরে । পাদের প্রহারে তারে দূরে ক্ষেপ করে । পশ্চাতে বৃষের নাসা-বিভেদ করিয়া । রাখিলেন গোপীশ্বর-শিবাগ্রে বাধিয়া ॥ পুনৰ্ব্বার কেশী দৈত্য আইল তথায় । আমন্দবিক্রম কৃষ্ণ লম্ফ দিয়া তায় ॥ মহাপরাক্রমে তার পুষ্ঠে আরোহিল। নানা গতি শিক্ষাইয়া দমন করিল ॥ সেই অশ্বে আরোহিয়া নিজসখাগণে । সহস্রসহস্ৰ শীঘ্ৰ করিয়া ভ্রমণে ॥ তাহার কুর্দনেতে বিচিত্র কৌতুকিত। ভূতলে আকাশে ভ্ৰমি শোভা বিরাজিত । কণমধ্যে নিয়মিয়া স্ববশ করিয়া । আরোহণহেতু ব্রজে রাখিল বান্ধিয়া ॥ বৃষকেই পূর্বে গোপীশ্বরেতে বান্ধিল । শকটবাহনহেতু ব্রজেতে রাখিল ॥ শ্ৰীগোলোক-ব্রজবৰ্ত্তি-নন্দীশ্বরপুরে । নিবলেন কৃষ্ণ নানা আনন্দপ্রচুরে ॥ জজ হৈতে মধুপুরী তারে লইবারে। কংসাজায় অক্রুর আইল একবারে ॥ সেইকালে ব্রজে যেই বৃত্তাস্ত হইল । কে কহিবে—তাকে ব্রজে কি গতি ধরিল ? ॥ অন্তন্ত্ৰিক শিলা-কাষ্ঠাদিক তা শুনিয়া । নিশ্চয় রোদন করি যায় বিদরিয়া ॥ সেই বার্তা রাত্রিতেই করিয়া শ্রবণ । গোলোক-গোকুলবাসী যত সবজন ॥ বহুত প্রকার সবে করি বিলপন । পুনঃপুন অতিশয় মোহযুক্ত হন। পুত্রপ্রাণা যশোদা শুনিয়া সমুদয় । দুষ্ট কংস হইতে পাইয়া অতিভয় ॥ আপন শপথ দিয়া করি আচ্ছাদন । লুকায়্যা রাখেন পুত্রে করিয়া গোপন ॥ প্রভাতে অক্রুর বহু যুক্তির দ্বারায় । প্রবোধ দিঙ্গেন নন্দরাজেরে তথায় ॥ নন্দ নিজপত্নী যশোদারে নানামত । বুঝাইয়া পুত্রে বাহে আনিলেন ততঃ ॥ দেখি লজ্জা ত্যজিয়া যতেক গোপীগণ । ছাহা আৰ্ত্তস্বরে উচ্চ করেন রোদন ॥ করিতে অশক্তি মাত্র করেন দর্শন। তাহাদের প্রাণ যেন করিল ছেদন ॥ সেইকালে যশোমতী অতি দীনমন। নিজ অশ্রদ্ধারে করে করেন মার্জন ॥ ধরি নিজপুত্ৰকরে করে আক্রমুরের । নিক্ষেপের দ্যায় অপিলেন স্বপুত্রের । কহিলা নন্দেরে—তব হস্তেতে এক্ষণ । প্রাণধনাধিক পুত্র করিলু অর্পণ ॥ কারেও না বিশ্বাসিবা স্বপাশ্বে রাখিয়া । দিবে মম করে তুমি এখানে আনিয়া ॥ এইমতে সুতস্নেহভরেতে আতুরা। পৌনঃপুন্ত মোছযুক্ত হয়েন প্রচুর ॥ বাক্যরোধ যশোমতী আপন আলয়ে । কৃষ্ণবিনা এক আইলেন যেসময়ে ॥ তবে ব্ৰজগোপিকাগণের মুমহত । ক্রদনের ধ্বনি হৈল অতি উচ্চগত ॥ যে ক্ৰন্দন অম্ভাপিহু করিলে স্মরণ । শুষ্ককাঠে জল বহে—শিলায় রোদন ॥ স্বয়ং ব্রজ তাহা শুনি হয় ত বিদার। কহিব কি কথা ইথে অন্তের কি আর ? ॥ নিশ্চয় জগত যদি ক্ষণে নাছি মরে । তৰে মগ্ন হয় সেই শোকের সাগরে । সরলস্বভাৰ যশোমতী বহুতর । প্রবোধ দিলেন গোপীগণেরে বিস্তর— ॥ মুনিপুত্র অকুরের করে এইক্ষণ । নিক্ষেপক্সপেতে করিলাম সমপণ ৷ সাধুলোকহস্তে সমপিলে দ্রব্যচয়। কদাচিত তাহে কোন আশঙ্কা না হয় । শীঘ্র তারা কৃষ্ণে আনি করিবে অর্পণ । অতএব শোক নাহি কর গোপীগণ ॥