পাতা:শ্রীবৃহদ্ভাগবতামৃত.djvu/১৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ত্রয়োদশ অবতারে হইলা মোহিনী । নারীৰেশে অস্তুর মোহিলা চক্রপাণি ॥ চতুৰ্দ্দশে হৈলা নরসিংহ অবতার। হিরণ্যকশিপু দৈত্য করিলা সংহার। পঞ্চদশ অবতারে কপট বামন । ছলিয়া পাতালে বলি লৈলা নারায়ণ ॥ ষোড়শে পরশুরাম ৰিজ-অবতার। নিক্ষত্রিয়া কৈলা পৃথী তিন সাত বার। সপ্তদশে সত্যবতীস্বত বেদব্যাস ! ৰেজ বিভজিয়া কৈল ধৰ্ম্ম পরকাশ ৷ অষ্টাদশে হৈলা রঘুনাথ অবতার। সীতা উদ্ধারিয়া কৈলা রাবণ সংহার ॥ উনবিংশে বিংশে রাম-কৃষ্ণ অবতার। অম্বর বধিয়া সব খণ্ডিলা ভূতার ॥ একবিংশে প্রভু বুদ্ধ শরীর ধরিল। লয়াইয়া পাষণ্ডধৰ্ম্ম অক্ষর মোছিল। ৰাবিংশেতে কষ্কিন্ধপে হৈব অবতার } ম্লেচ্ছ বধি সত্য প্রচারিব আর বার ॥ এই মত কতেক অনন্ত অবতার। কহিতে উদ্দেশ জানে শকতি কাহার। যত যত অবতার করেন মুরারি। কেহ অংশ কেহ কলা বুঝহ বিচারি। পূৰ্ণব্রহ্ম কৃষ্ণ অবতার-শিরোমণি। অন্ত অবতার অবতারী যদুমণি ॥ বেলয়ার রাগ । কৃপা কর প্রভু ঠাকুর যন্ধরায়। দারুণ যমের দূত লগে লগে ধায় ॥ ধ্রু॥ তবে আর কথা স্থত কহিতে লাগিলা। যেমতে নারদ ব্যাস সমাগম হৈলা ॥ নানা বর্ণধৰ্ম্ম ব্যাস কহিল পুরাণে । সকল বেদের অর্থ ভারত আখ্যানে ॥ এক বেদ চারি ভাগ বহু শাখা করি । পঢ়িাইলা বন্ধ শিষ্যে বেদ-অধিকারী ॥ লোক উদ্ধারিতে কৈলা এতেক আয়াল। তমু ব্যাসের না হৈল হৃদয়ে ( ১ ) প্রকাশ । সরস্বতী তীরে ব্যাস চিন্তিয়া বসিলা । হেনকালে তথা আসি নারদ মিলিলা ॥ শিষ্যগণ সহে ব্যাস উঠিলা সত্বরে। আতিথ্য বিধানে পুজি আনিলা মন্দিরে ॥ প্ৰণাম স্তৰন কৈল পাদ সম্বাহন। তবে তারে পুছিলা নারদ-তপোধন ॥ ( } ) *ांठांख्द्र,-"फिरखब्र* | গ্ৰীকৃষ্ণ-প্ৰেমতরঙ্গিণী ১৯৫ কেন ব্যাস দেখি তোমা চিক্তিতত্ত্বদয় । তোমা হৈতে জগতের ঘুচিল সংশয়। নানা ভেদে নানা ধৰ্ম্ম নানা উপাখ্যানে । বেদ বিভজিলে লোক বুঝিব কারণে ॥ জগতে রহিতে কৈলে ধৰ্ম্ম সংস্থাপন। তোমার হৃদয়ে শোক এ কোন কারণ ॥ দান ব্ৰত তপ যজ্ঞ বিবিধ আচার। লোক উদ্ধারিতে কৈলে এ সব প্রচার ॥ তবে কেন ব্যাস তুমি হৃদয়ে চিস্তিত। কহত কারণ তুমি জ্ঞানে সুপণ্ডিত । বরাড়ি রাগ । উত্তর দিলেন তবে ব্যাস মহাশয় । তুমি যত কহিলে সকল সত্য হয়। তথাপি হৃদয় মোর না হয় প্রসন্ন । আপনে কহিবে তুমি ইহার কারণ। মহাভাগবত তুমি ব্ৰহ্মার কুমার। তিন লোকে অগোচর নাহিক তোমার ॥ ভূত ভব্য বর্তমান তিলে স্বপণ্ডিত। বাহ অভ্যস্তর সব তোমাতে বিদিত ॥ তোমার হৃদয়ে বৈসে প্রভু নারায়ণ । আমার সংশয়-হেতু কহ তপোধন। হাসিয়া নারদ তবে দিলেন উত্তর ॥ সকল পাসর হয়্যা আপনে ঈশ্বর। দান ব্রত তপ যজ্ঞ কহিলে বিচারি । হরি সংকীৰ্ত্তন তুমি ন কৈলে বিস্তারি। তে-কারণে নহে তোমার সন্তোষ হৃদয় । আপনে চিস্তিয়া চাহ ব্যাস মহাশয় ॥ তুমি ৰোল পশুধৰ্ম্ম লোকের আচার। আহার শৃঙ্গার নিদ্রা ভয় ব্যবহার ॥ নিয়ম করিৰ তাথে ধৰ্ম্ম উপদেশে । আমার বচন লোক বরিব সস্তোষে ॥ স্বধৰ্ম্ম করিতে লোক শুদ্ধমতি হৈব। ক্ষুদ্র মুখ তেজি তবে মহামুখ পাইব ॥ আপনে বিচার করি ভজিব ঐহরি। পাছে তবে যাবে লোক তৰসিন্ধু তরি। যে তুমি চিন্তিলে হিত হৈল অপকার। নিতাইতে প্রদীপ বাঢ়াইলে আর বার। পশুবুদ্ধি জীব তাথে না কৈল বিচার। মানিল পরম ধৰ্ম্ম আহার শৃঙ্গার। মুখভোগ স্বৰ্গবাস শুত কৰ্ম্মফল। এই বলি ধৰ্ম্মকৰ্ম্ম করে নিরন্তর ॥