"לפי স্বত্যের পরেতে রুদ্র-পাদপদ্ম-খুলি - । স্পর্শেচ্ছায় নিকটে আইলা হস্ত তুলি । তৰে ক্লদ্র—বৈষ্ণব যাহার প্রিয়তর। কৃষ্ণরসধার-পানে উন্মত্ত বিস্তর ॥ নারদোক্ত ৰাক্য নাহি করিয়া শ্রবণ । সমাদরে প্রশ্ন তারে করেন তখন ॥ আকৰ্ষিয়া আলিঙ্গন দিলা মুনিবরে। ব্ৰহ্মপুত্ৰ ! কি কহিলা ?—কহ ব্যক্ততরে। প্রত্যের কৌতুক ছাড়ি কন্দ্র মহাশয়। অল্প প্রিয়জনেতে আবৃত সে সময় ॥ পাৰ্ব্বতীর প্রাণনাথ ৰলি বীরাসনে । রসে মগ্ন শ্রীবৈষ্ণব-শ্রেষ্ঠ-সম্ভাষণে ॥ তবেত নারদমুনি অগ্রেতে হইল । রুদ্রবড়ঙ্গক পঢ়ি প্রণাম করিলা । জগতের ঈশরূপ মহিমা প্রকাশ । করিলেন স্তব তারে—বিবিধ নিৰ্য্যাস ॥ কৃষ্ণরুপ-সমূহের পাত্র মহাশয়। ত্ৰিলোকেতে যার তুল্য কেহ নাহি হয় । এতেক শুনিয়া সৰ্ব্ববৈষ্ণবমূৰ্দ্ধন্ত । বিষ্ণুভক্তিপ্রবর্তক মহাদেব ধন্ত ॥ কৰ্ণ আচ্ছাদন করি দেব পুনঃপুন । সক্রোধ কহেন—ওহে মুলিবর ! শুন । জগত-ঈশ্বর আমি নহি কদাচিত । কৃষ্ণকৃপাম্পদ নাহি হইয়ে নিশ্চিত ॥ কেবল কৃষ্ণের দাস-দাসের বিস্তর। অনুগ্রহ কামনা করিয়ে নিরস্তর ॥ এত শুনি নি হৈলা সন্ত্রমেতে যুক্ত । কৃষ্ণে ঐক্য-স্তুতি আর না করিলা উক্ত ॥ অপরাধী আপনারে মানি মুনিবর। কহিতে লাগিলা কিছু বাক্য অল্পম্বর— ॥ বিষ্ণু আর বৈষ্ণবগণের স্বমহিমা । অত্যন্ত দ্বর্গম—আর নিগুঢ়ের সীমা । আপনি জানহ, আর যত জীবগণে । জ্ঞাপন করাহ তুমি কৃপাবলোকনে । এইহেতু বৈষ্ণবের শ্রেষ্ঠ গুণিতর। তব অনুগ্রহ বাদ্ধা করে নিরস্তর ॥ শ্রীকৃষ্ণ আপনি তোমা প্রতি হৈয়া প্রীত। অধিক মহিমা তব করে বিস্তারিত ॥ কত-বার কত-বর কত মূৰ্ত্তি ধরি । লৈলা কৃষ্ণ ভক্ত্যে তোমা আরাধনা করি"। একথা শুনিয়া শিব হইল লজ্জিত। ধৈৰ্য্য করিবারে হৈল। অশক্ত নিশ্চিত । खैबोबडॉभयङ "আমার সে ধাষ্ট্য না কছিৰা কদাচন” । এত কছি, শীঘ্রতর উঠিয়া তখন ॥ দুইহন্তে নারদের মুখ আচ্ছাজন । করিলেন মহাদেৰ হুইয়া বিমন। ততঃপরে উচ্চৈস্বরে হৈয়া সবিস্ময় । কছে—ওহে মুনি । ভাবি দেখহ বিষয় ॥ প্রভুর লীলার বেই হয়ত বৈভব। বিতর্কে না বোধ হয় তার এক-লব। বিচিত্র পরমাশ্চৰ্য্য বিৰিখ গম্ভীর। মহিমা-সমুদ্র মদীশ্বর প্রভু ধীর ॥ করিলেহ অপরাধ নানান প্রকারে । সা করেন কৃষ্ণদেব উপেক্ষ তাহারে । বরদান-আদি নিজ ঐশ্বৰ্য্য প্রকাশ । করিলাম অপরাধ নিজ প্রভু-পাশ । তথাপিছ ত্যাগ মোরে প্রভু না করিলা । অদ্যাপি আপন ভক্তি আমাতে রাখিলা ॥ কৃষ্ণভক্তিরসে-মগ্ন-শিব-পাদস্বয়। ধরিয়া আনন্দে মুনি স্তবন করয়— ॥ নাহি হয় অপরাধ অচ্যুতে তোমার। লোকদৃষ্টে যদি হয় কখনো প্রচার। তাহাও অচ্যতে নাহি হয় সে প্রচার । যেহেতু পরম প্রিয় তুমি হও তার ॥ বাণরাজ নিজবাহুবলে অহঙ্কারী । সাধুসকলের বহু উপদ্রবকারী ॥ নিজকতা-উষা-সহ দেখি অনিরুদ্ধে । মায়া প্রকাশিয়া যবে করিলেক রুদ্ধে ॥ গণসহ কৃষ্ণ আইলা করিতে উদ্ধার। বহু যুদ্ধ কৈল বাণ সহিত র্তাহার ॥ হতপ্রায় যখন হইল রাজা বাণ । দেখিয়া আপনি তারে হয়্যা কৃপাবান ॥ নিজভক্ত পুত্রতুল্য—পালিতে সে জন। প্রাণরক্ষা-হেতু তার—হরির স্তবন। করিলা, তাহাতে রোষ ত্যজি সেইক্ষণে । নিজ স্বরূপত্বদান করি প্রতিমনে ॥ তোমার পার্ষদ তারে করিলা শ্রীহরি। দেবগণ যাহা নাহি পায় তপ করি। গার্গ্য-জাদি যেই বাদবাদি-দ্ৰোহকারী। করিল সে লালামত তপস্তা তোমারি । তাহাদিগে নিশ্চিন্দ্র করিলা বয়দান । এহেতু না হয় তব অপরাধ-ভাণ। গার্গ্যে বর দিলী-পুত্র তোমার জন্মিৰে। যছকুল-ভয়োৎপন্ন সেই ভ করিবে ।
